সোনার তরী কবিতাটি বর্ষার চিত্র-রূপময় কবিতা- আলোচনা করো
কবির অনুভূতি প্রকাশের জন্য যে ভাষাচিত্র রচিত হয়, তার সৌন্দর্য পাঠককে প্রাথমিকভাবে মুগ্ধ করে। কবি যে বিষয়গুলি বলতে চান, সেগুলি তিনি ভাষার শিল্পরূপে অত্যন্ত নিপুণতার
কবির অনুভূতি প্রকাশের জন্য যে ভাষাচিত্র রচিত হয়, তার সৌন্দর্য পাঠককে প্রাথমিকভাবে মুগ্ধ করে। কবি যে বিষয়গুলি বলতে চান, সেগুলি তিনি ভাষার শিল্পরূপে অত্যন্ত নিপুণতার
‘সোনার তরী’ কাব্যের কবিতাগুলি রচনার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পল্লীজীবনের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন। তিনি পদ্মানদীর জলরাশিতে দিনের পর দিন ভাসতে ভাসতে প্রকৃতির মনোরম দৃশ্যের মধ্যে প্রবাহিত
এ জগতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়; জন্মগ্রহণের পর মৃত্যু অনিবার্য। আমরা যতই প্রিয়জনকে নিবিড় ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধতে চাই, পৃথিবীর অপ্রতিরোধ্য নিয়মে সেই বাঁধন শিথিল হয়ে যায়।
কাব্যের প্রথম কবিতার নাম ‘সোনার তরী’ এবং সমগ্র কাব্যগ্রন্থটির নামও তাই। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থে প্রধান ভাবপ্রকাশ কবিতার নাম অনুসারে নামকরণের রীতি দেখা যায়, যেমন ‘চিত্রা’, ‘বলাকা’
“যেতে নাহি দিব” কবিতাটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত বিদায়ের ঘটনা নয়, বরং এটি জীবন, সম্পর্ক, এবং পৃথিবীর গহীনে লুকিয়ে থাকা গভীর বেদনার একটি চিত্র। এই কবিতার
‘যেতে নাহি দিব’ কবিতার বাহ্যিক অবয়বে স্পষ্টভাবে দুটি স্তর প্রতিভাত হয়েছে। প্রথম স্তরটি কবির ব্যক্তিগত জীবনের একটি বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন, যেখানে তিনি তার অনুভূতি ও
‘সোনার তরী’ কাব্যে প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি কবির ভালোবাসা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে। এ কাব্যে প্রকৃতি-বিষয়ক কবিতা যেমন আছে, মানুষ সম্পর্কিত কবিতারও তেমনি অভাব নেই। ‘যেতে
রবীন্দ্রনাথ প্রধানত কবি এবং তিনি বৃহদর্থে বিশ্বপ্রকৃতির কবি। রবীন্দ্রনাথের এই প্রকৃতিচেতনা এতই সুনিবিড় যে, তিনি কেবল প্রকৃতি ও প্রাণপ্রবাহের নিরন্তর সৌন্দর্য সম্ভোগেই পরিতৃপ্ত নন, কখনো
‘সোনার তরী’ কবিতাটির নামকরণ সম্পর্কীয় আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কবি এই কবিতার নামেই তাঁর কাব্যের নামকরণ করেছেন। উল্লেখযোগ্য যে, রবীন্দ্র সাহিত্যের সর্জ্জনায় ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের
রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ পর্ব নানা কারণে বৈশিষ্ট্যযুক্ত। রবীন্দ্র কাব্যে রূপক ব্যবহার এই সময় হতে বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হতে থাকে। রবীন্দ্রনাথের কাব্য সমালোচক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য রূপক ও
Copyright © 2024 Banglasahitta. All rights reserved.
Copyright © 2024 Banglasahitta. All rights reserved.
Copyright © 2024 Banglasahitta. All rights reserved.
The content is copyright protected.