Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

প্রতীক নাটক হিসেবে মুক্তধারা নাটকের সার্থকতা বিচার করো

‘মুক্তধারা’ বলতে মূলত মানবজীবনের অবিরাম, সচ্ছন্দ, ও ক্রমাগত অগ্রগতির প্রতীককে বোঝানো হয়েছে। মানব জীবনের এই ধারা অবিরাম প্রবাহিত হয়, যেখানে মানুষ জন্ম-জন্মান্তরে নানা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। এই অগ্রগতি বা গতি হচ্ছে জীবনের প্রকৃত স্বরূপ, আর এই গতির অবসানই হলো মৃত্যু। তাই বলা হয়, গতির মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত, আর গতি বন্ধ হলেই মানুষের অন্তরাত্মা পীড়িত হয়। যখনই জীবনের গতিধারা নানান জটিলতা ও মলিনতায় আটকে যায়, তখন প্রাণের লীলা ব্যাহত হয়। মানুষ তার স্বাভাবিক মুক্তস্বভাবের উপলব্ধি করতে অক্ষম হয়। এই বিষয়েই সমালোচক কনক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন— “মুক্তধারা আসলে জীবনের প্রতীক। নাটকে মুক্তধারা ও জীবন অভিন্ন বলিয়া ধরা হইয়াছে। মুক্তধারার ধর্ম চলা। জীবনের ধর্মও তাই।” অর্থাৎ মুক্তধারার গতিতেই জীবনের আসল পরিচয়, এই গতির মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত।

‘মুক্তধারা’ নাটকে সমস্ত দৃশ্যই পথের ওপর রূপায়িত হয়েছে, যা জীবনের নিরন্তর অগ্রসর হওয়ার প্রতীক। এই পথের মধ্যেই জীবনের বিচিত্র ঘটনা ও অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়, আর তার সাথেই মানুষ এগিয়ে চলে। পথ ধরেই মানুষ এক জীবন থেকে আরেক জীবনে যায়, অনস্তপথের পথে চলতে থাকে। পথ সীমাহীনতার ইঙ্গিত বহন করে, যা জীবনের অস্তিত্ব ও অসীমত্বের প্রতীক।

‘মুক্তধারা’র বাঁধ প্রতীক হিসেবে যান্ত্রিকতার চরম রূপকে নির্দেশ করে। যন্ত্রশক্তির প্রবল ক্ষমতা এখানে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই বাঁধ না ভাঙলে জীবনের স্বাভাবিক প্রবাহ স্থবির হয়ে যায়, এবং পৃথিবীতে মানবতার প্রকৃত উপলব্ধি অসম্ভব হয়ে পড়ে। অভিজিৎ তার জীবন দিয়ে এই বাঁধ ভাঙার জন্য প্রস্তুত।

‘মুক্তধারা’কে এক বিশাল লৌহযন্ত্র দ্বারা আবদ্ধ করা হয়েছে, যা প্রজাদের দমনের জন্য রাজা নির্মাণ করেছেন। যন্ত্রশক্তির সহায়তায় তিনি মানুষের গতিশীল জীবনধারায় বাধা সৃষ্টি করেছেন। এটি সংকীর্ণ জাতীয়তার প্রতীক, যেখানে যন্ত্রশক্তির বলে একজন শাসক বিজিত জাতিকে দমন করে, শাসন করে এবং উপনিবেশ স্থাপন করে। এই যন্ত্রশক্তিই পশ্চিমা জাতীয়তাবাদ ও শাসননীতির প্রতীক হিসেবে কাজ করছে, যা ন্যায় ও সত্য থেকে বিচ্যুত। ‘মুক্তধারা’র যন্ত্রশক্তি এই শাসনের প্রতীক।

মুক্তধারার ঝর্ণাতলাকে অভিজিতের জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন কবি, যার মধ্যে একটি গূঢ় অর্থ রয়েছে। ঝর্ণাতলার এই জন্মরহস্যের মাধ্যমে কবি বলতে চেয়েছেন— অন্তরাত্মার অবিরাম গতিশীলতা ও তার বন্ধনের অনুভূতি অভিজিতের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এত প্রবল যে, সে রাজসিংহাসন ও ঐশ্বর্য ত্যাগ করে তার মুক্তসত্তার জন্য উদগ্র হয়। কবি মানবাত্মার মুক্তির স্বরূপে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, যেখানে কোনো বন্ধন মানবাত্মাকে আবদ্ধ করতে পারে না। এইভাবে অভিজিতের জন্মস্থানে ঝর্ণাতলা নির্দেশ করে তার মুক্ত আত্মার অভিপ্রায়।

নন্দীর সংকটের পথ, যা অভিজিৎ খুলে দিয়েছে, সেটি একটি অবরুদ্ধ জীবনের প্রতীক। যেখানে মানুষের ন্যায্য অধিকার শাসনযন্ত্রের চাপের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জীবনের স্বাভাবিক প্রকাশ সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তাই অভিজিৎ এই পথ খুলে দিয়ে শিবতরাই-এর মানুষদের পরান্নজীবী হয়ে থাকার দুঃখ থেকে মুক্তি দিয়েছে। এটাই তার একমাত্র কাজ নয়, ভবিষ্যতে মানুষ যত বাঁধনে আটকে যাবে, সেইসব বন্ধন ছিন্ন করার ব্রত নিয়েই সে পথচলা শুরু করেছে। এইভাবে সে অসীমের পথে এগিয়ে চলেছে।

এ নাটকে ‘উত্তরকূট’, ‘শিবতরাই’, ‘চণ্ডপত্তন’, ‘মোহনগড়’— এই স্থানগুলির নামও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ‘উত্তরকূট’ বলতে বোঝানো হয়েছে উত্তর দিকে অবস্থিত সর্বোচ্চ স্থান, যা জীবনগতির শীর্ষ চূড়ার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ‘উত্তরকূট’ পার্বত্য প্রদেশকে ‘শিবতরাই’-এর সঙ্গে তুলনায় রাষ্ট্রীয় তাৎপর্যের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন। ‘শিবতরাই’ শব্দের অর্থ হলো শিব বা কল্যাণময়। তাদের প্রধান সমস্যা ছিল জলসংকট। মুক্তধারার জলধারা তাদের জন্য কল্যাণকর সম্পদ। তাছাড়া, ‘চণ্ডপত্তন’ নামটি ও তত্ত্বধর্মী। ‘চণ্ড’ শব্দটি ভয়াবহ ক্রোধের প্রতীক, যার মধ্য দিয়ে যে উপনিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, সেটির নামই চণ্ডপত্তন। ‘মোহনগড়’ শব্দের অর্থ সুন্দরভাবে প্রতিভাত গড়, যা রাজশক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মোহনগড়ের রাজা তার মানবমুখীনতার জন্য প্রজাদের কাছে প্রিয় ছিলেন।

নাটকে অমাবস্যা, সূর্যাস্ত, আলো, অন্ধকার ইত্যাদিও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অমাবস্যা এমন এক সময়, যা কেন্দ্র করে এক অজানা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অমাবস্যা যেন দেশকালের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে মানবতার এক অনিমোচ্য সংকটের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে। সূর্যাস্ত এখানে মানবজাতির ও সভ্যতার অন্ধকার ভবিষ্যতের প্রতীক, যেখানে সূর্য মানবজাতির আদর্শ। আলো ডুবে যাওয়ার মাধ্যমে মানবসভ্যতা যেন অন্ধকারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে অন্ধকারই মানব ইতিহাসের চূড়ান্ত সত্য নয়, বরং অন্ধকারের মধ্যেই সূর্যোদয়ের সাধনা করে মানুষ রক্তিম প্রভাতের জন্য অপেক্ষা করে।

সুতরাং, যেমন রাত্রির তপস্যা দিন আনে, তেমনি মানবসভ্যতাকে সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য আলোকের সন্ধান ও তপস্যার প্রয়োজন। অভিজিৎ ও তার দল এই আলোর জন্য সাধনা করে, যদিও সাধারণ মানুষ অন্ধকারে দিশেহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু মুক্তিতীর্থের পথিকরা সংকটের অবসানকে শাশ্বত বলে মনে করে এবং বাঁধভাঙা মুক্তধারার জলস্রোতের মধ্যে শুনতে পায় মানবমুক্তির সম্ভাবনাময় উল্লাসধ্বনি। এভাবেই রবীন্দ্রনাথ নাটকটিতে প্রতীকের মেলবন্ধন ঘটিয়ে এক সার্থক প্রতীক নাটক রচনা করেছেন।

আর্টিকেল’টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে দিন অথবা পোস্ট করে রাখুন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, তাতে আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।

গৌরব রায়

বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ।

লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

6.7k

SHARES

Related articles

"সোজন বাদিয়ার ঘাট" কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস

“সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস

ভূমিকা: বাংলা কাব্যের ভুবনে বাংলাদেশের মানসকবি জসীম উদদীনের (১৯০৩-১৯৭৬) আবির্ভাব বিশ শতকের তৃতীয় দশকে। তিনি রবীন্দ্র-নজরুল ও তিরিশের কবিদের বলয় ও প্রভাব মুক্ত থেকে কবিতায় এক নতুন ও ব্যতিক্রম স্বর সৃষ্টি করেছেন। সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৩) কবি জসীম উদদীনের দ্বিতীয় আখ্যান কাব্য। সমকালীন কবিরা যেখানে প্রায় সকলেই নগরচেতনা, নাগরিক জীবন ও আচার-আচরণ সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে তুলে এনেছেন, জসীম উদদীন সেখানে তার কবিতায় আবহমান বাংলার প্রকৃতি, সমাজ ও সাধারণ মানুষের জীবন-চিত্রকেই আন্তরিক নিষ্ঠা, অকৃত্রিম ভালবাসা ও দরদ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কবির বিকল্প জীবনবোধ, জীবনপদ্ধতি এবং জীবন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ উপন্যাসধর্মী রচনা। এ কাব্যে প্রেমভাবনা ও সমাজভাবনা দুইই পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। নিম্নে … “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস ১. অসাম্প্রদায়িক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যে অসাম্প্রদায়িকতা দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। এ আখ্যান কাব্যে হিন্দু-মুসলিমদের সহাবস্থান, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও তৎকালীন পরিবেশ ও ঘটনা পরিক্রমায় লিখিত। আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল/গ্রামে হিন্দু-মুসলমানদের একত্রে বসবাস, সম্প্রীতির পরিচয় আছে। বিভিন্ন কারণে দুই ধর্মের মধ্যে মারামারী ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে যায়। কবি এরূপ বর্ণনায় অসাম্প্রদায়িক হিসাবে চরম নিরপেক্ষতার বর্ণনা দিয়েছেন। “নমু পাড়ায় পূজা পরব, শঙ্ক কাঁসর বাজে, … মুসলমানের পাড়ায় বসে ঈদের মহোৎসবে,” ২. প্রেমভাবনা ও সমাজভাবনা দুইই পরস্পরের পরিপূরক: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যেপন্যাসের প্লট নির্মিত হয়েছে মুসলমান চাষীর ছেলে সোজন আর হিন্দু নমুর মেয়ে দুলীর অপূর্ব প্রেমের কাহিনীকে ঘিরে; তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিগত সামন্ত যুগের জমিদারি প্রথার নিষ্ঠরতার আলেখ্য। গ্রামের হিন্দু বালিকা দুলীর সাথে মুসলমানের ছেলে সোজনের আবল্য বন্ধুত্ব। বন্ধু থেকে আস্তে আস্তে প্রেমে পরিণত হয়। কবিতায়- “নমুদের মেয়ে আর সোজনের ভারি ভাব দুইজনে, লতার সঙ্গে গাছের মিলন, গাছের লতার সনে।“ প্রেমের তুলনায় সমাজ অতিমাত্রায় কাব্যের জায়গা দখল করে নিয়েছে। কাব্যে সামাজিক অনুষঙ্গের উপস্থাপন করেছেন কবি। কবিতাতে তিনি সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষকে আসার আহ্বান করেছেন। সমাজের মানুষের সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার, খেলাধুলা প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায় কাব্যটিতে। দুলির মায়ের কণ্ঠে সমাজের রূঢ় রূপটি প্রকাশ পায়- “পোড়ারমুখীলো, তোর জন্যেত পাড়ায় যে ঠেকা ভার, চূণ নাহি ধারি এমন লোকেরো কথা হয় শুনিবার!” ৩. জীবনবোধ, জীবনপদ্ধতি এবং জীবন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ রচনা: কবি পল্লিগীতির সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে। শহরজীবনে বসবাস করলেও তিনি পল্লিগীতির সংগ্রাহক হিসেবে গ্রামে কাজ করেছেন। ফলে তিনি মানুষের সাথে মিশতে পেরেছেন এবং তাঁর জীবনবোধ ও জীবন অভিজ্ঞতা হয়েছে সমৃদ্ধ। তাঁর জীবনপদ্ধতি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বড় কবিতার ধারক হিসেবেই তিনি পরিচিত। ৪. উপন্যাসধর্মী রচনা: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” একটি উপন্যাসধর্মী রচনা। কাব্যের কবিতাগুলো জসীম উদদীন উপন্যাসের ঢংয়ে লিখেছেন। এ যেন লোকজ ঐতিহ্যের প্রতীক। ৫. মৌলিক রচনাধর্মী ও অনন্য: অন্যেরা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় সম্পর্কিত কাহিনী থেকে নিয়েছেন। কিন্তু কবি জসীমউদ্দীন কাহিনী নিয়েছেন ঘর থেকে, গ্রাম থেকে, পল্লী গ্রাম-বাংলা থেকে। এখানে তিনি মৌলিক ও অনন্য। ৬. আধুনিকতা ও উদারনীতির বৈশিষ্ট্য: সময়কে এড়িয়ে না গিয়ে তাকে স্বীকার করে নিয়ে লেখা আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য। প্রাণিজগতের কল্যাণকামনা করে মানবিক হওয়াও আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য। এসবের সংমিশ্রণে জসীম উদদীন কবিতায় অবয়ব দিয়েছেন। হিন্দু কিশোরী দুলালী বা দুলী ও মুসলমান কিশোর সুজনের প্রেম নিয়ে মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গা লেগে যায়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে জসীমউদ্দীন লিখলেন- এক গেরামের গাছের তলায় ঘর বেঁধেছি সবাই মিলে . . . এক মাঠেতে লাঙল ঠেলি, বৃষ্টিতে নাই, রৌদ্রে পুড়ি সুখের বেলায় দুখের বেলায় ওরাই মোদের জোড়ের জুড়ি। ৭. চরিত্র নির্মাণে দক্ষতা: ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যে লেখক চরিত্রের আমদানি করেছেন, চরিত্রের বিকাশ ঘটিয়েছেন এবং চরিত্রের পরিণতি দেখিয়েছেন। চরিত্র যেন অনুভূতির মাধ্যমে কথা বলছে। তিনি চরিত্র অনুযায়ী ভাষার ব্যবহারেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ৮. কাহিনী ও ভাষা বিন্যাসে পাণ্ডিত্য: কাহিনী বিন্যাসে, ভাষা ব্যবহারে এবং উপমা-চিত্রকল্পে তার রচনায় লোক-কাব্য, পুঁথি-সাহিত্য, লোক-সঙ্গীতের কিছু প্রভাব রয়েছে। লোকজ উপাদানের ব্যবহার থাকলেও আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার কম; প্রায় নেই বললেই চলে। এখানেও জসীমের মুন্সিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। ৯. ছন্দ ও অলঙ্কারের প্রয়োগ: আধুনিক কবিতায় অলঙ্কারের প্রয়োগ লক্ষণীয়। কবি জসীমউদ্দীন কবিতায় উপমা-উৎপ্রেক্ষা, সমাসোক্তি ও অন্যান্য অলঙ্কারের যুতসই ব্যবহার ও প্রয়োগ দেখা যায়। তার অলঙ্কারের বেশিরভাগ উপাদানই লোকজ।

Read More
কপালকুণ্ডলার বংশ পরিচয় কী?

কপালকুণ্ডলার বংশ পরিচয় কী?

কপালকুণ্ডলা: বাংলা সাহিত্যের একটি চরিত্র। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে নবকুমার এক জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে এক কাপালিক তাকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার

Read More

Keto Diet Recipes

Keto for Beginners: A Simple 7-Day Meal Plan The ketogenic (keto) diet has taken the health and wellness world by storm, promising weight loss, increased

Read More
শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের নাটক?

শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের নাটক?

শর্মিষ্ঠা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক। এটি রচিত হয় ১৮৫৯ সালে। নাটকটি মহাভারতের কাহিনীকে উপজীব্য করে পাশ্চাত্য রীতিতে রচিত হয়। নাটকটির কাহিনী মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত

Read More
Gourab Roy

Gourab Roy

I completed my Honors Degree in Bangla from Shahjalal University of Science & Technology in 2022. Now, I work across multiple genres, combining creativity with an entrepreneurial vision.

বিশ্বসেরা ২০ টি বই রিভিউ

The content is copyright protected.