Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

১. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের ভূমিকা কে লেখেন?

উ: রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

২. নৌকা খণ্ডে কটি পদ আছে?

উ: ৩০

৩. বাংলা সাহিত্যের প্রথম একক কবির কাব্য কোনটি?

উ: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’

৪. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের ভাষা কোন যুগের?

উ: আদি মধ্য যুগ

৫. কাব্যে রাধার স্বামীর নাম কী?

উ: অভিমন্যু

৬. বড়ু চণ্ডীদাস ভনিতা কত বার আছে?

উ: ৪৩

৭. “রাধাবিরহ” অংশটিকে প্রক্ষিপ্ত বলেছেন কে?

উ: বিমানবিহারী মজুমদার

৮. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের কততম গ্ৰন্থ ?

উ: ২

৯. এই কাব্যের মোট পদ কত?

উ: ৪১৮

১০. কাব্যটি কিসের উপর লেখা?

উ: তুলোট কাগজ

১১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কোন গানের লক্ষণ আছে?

উ: ঝুমুর

১২. রাধার বাবা কে?

উ: সাগর

১৩. ছত্র ধর কাহ্নাঞিঁ দিবোঁ সুরতি” কত সংখ্যক পদ?

উ: ২০৯

১৪. ‘ললাট লিখিত খন্ডন না জাএ’ কোন খণ্ডের অংশ?

উ: দান খণ্ড

১৫. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের খন্ড সংখ্যা কত?

উ: ১৩

১৬. বড়ু চণ্ডীদাস কোথাকার বাসিন্দা?

উ: বাঁকুড়ার ছাতনা

১৭. এই কাব্যে কতগুলি রাগরাগিণী আছে?

উ: ৩২

১৮. শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির নাম রাধাকৃষ্ণের ধামালী রাখার প্রস্তাব কে করেন?

উ: বিমানবিহারী মজুমদার

১৯. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রকাশকাল কত?

উ: ১৯১৬

২০. “দেখিল কোকিল বেল গাছের উপরে। আর তিল কাক তাক ভখিতেঁ না পারে।।- কোন খণ্ডের অংশ ?

উ: দান খণ্ড

২১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এর সংস্কৃত শ্লোক সংখ্যা কত?

উ: ১৬১

২২. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে অনন্ত চন্ডীদাস ভনিতা কত বার আছে ?

উ: ৭

২৩. ‘হরিণ নিজের মাংসের জন্য নিজেই নিজের শত্রু’ – এই অর্থবোধক প্রবাদটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে ?

উ: ৩

২৪. শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তন প্রকাশের পর সম্পাদক এক খন্ড বই কাকে উপহার দিয়েছিলেন? এবং বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় স্বহস্তে কী লিখেছিলেন ?

উ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে। লিখেছিলেন – “কবিকুল-রবি শ্রীযুক্ত স্যার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে টি, ডি এন্ আই টি মহাশয়ের শ্রীকরকমলে – শ্রীবসন্ত রায়।”

২৫. কাব্যের বৃহত্তম খন্ডের নাম কি?

উ: দান

২৬. গাইল বড়ু চণ্ডীদাস – ভণিতা কত বার আছে?

উ: ২৯৮

২৭. কাব্যটি কত সালে আবিষ্কৃত?

উ: ১৯০৯

২৮. কাব্যটি কোথা থেকে পাওয়া যায়?

উ: কাকিল্যা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর বাড়ি থেকে

২৯. শ্ৰীকৃষ্ণসন্দর্ভ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

উ: শ্রীজীব গোস্বামী

৩০. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে পৌরাণিক চরিত্র কে কে?

উ: মহাদেব সুগ্রীব গোড়ুর পান্ডু যুধিষ্ঠির

৩১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রকৃত নাম কি?

উ: শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ

৩২. কাব্যের লিপিকার কে?

উ: রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

৩৩. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কোন রসের প্রভাব দেখা যায়?

উ: শৃঙ্গার রস

৩৪. ভাগবতের রাস কোন খন্ডকে বলা হয়?

উ: বৃন্দবন খণ্ড

৩৫. রাধার শ্বশুর আর শ্বাশুরীর নাম কি?

উ: জল ও জটিলা

৩৬. বর্তমান কাব্যের এ কোন সংস্করণটি মুদ্রিত আকারে দেখা যায়?

উ: ৪

৩৭. কাব্য কাহিনীর শুরু হয় কোন ঋতুতে?

উ: বসন্ত

৩৮. কাব্যের প্রথম পদে কার কথা ব্যক্ত হয়েছে?

উ: পৃথিবী

৩৯. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কত সালে কোথা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়?

উ: ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।

৪০. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যোর পুঁথির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকূটে কার নাম ও কত সনের উল্লেখ রয়েছে?

উ: পঞ্চানন, ১০৮৯ সন

৪১. কাব্যে উল্লেখিত কয়েকটি ফুলের নাম কী?

উ: মালতী, বাসক, করবী, চাঁপা, ছাতিম, পিপলি, বাতকী, শিরিষ

৪২. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে যে চিরকুট পাওয়া গেছে তাতে কী নাম ছিল?

উ: শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ

৪৩. প্রথম পৃথিবীর কথা বলা আছে কোন কাব্যে ?

উ: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্যে

৪৪. এই কাব্যে সবচেয়ে ব্যবহৃত রাগের নাম কি ?

উ: পাহাড়িয়া

৪৫. কোন কোন খণ্ডে রাধাকৃষ্ণ মিলন সংঘটিত হয়?

উ: ৫ টি। দান, নৌকা, বৃন্দাবন, বাণ ও রাধা বিরহ

৪৬. কোন ঋতুতে কাব্যের সমাপ্তি হয়?

উ: শরৎ

৪৭. মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কোনটি?

উ: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য

৪৮. রামগিরী রাগে কতগুলি পদ রচিত?

উ: ৫৪

৪৯. এই কাব্যে কয়টি খণ্ড আছে?

উ: ১৩

৫০. ‘রাধিকা থাকিলি বসি আপনার ঘরে’- কার উক্তি ?

উ: বড়াই

৫১. তাম্বুলখন্ডে রাধার বয়স কত?

উ: ১১ বছর

৫২. রাধা কিসের প্রতীক?

উ: জীবাত্মার

৫৩. কে কোন গ্রন্থে প্রথম প্রমাণ করেন যে, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য মধ্যযুগের বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন ?

উ: সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়। ODBL গ্রন্থে।

৫৪. প্রাচীন কোন গ্রন্থে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের উল্লেখ আছে?

উ: বৈষ্ণবতোষিণী

৫৫. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সঙ্গে লোকগীতের কোন ধারার নৈকট্য বর্তমান?

উ: ঝুমুর

৫৬. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহার করা হয়েছে এমন ৩ টি তালের নাম লেখ?

উ: একতালা, যতি, আঠতালা

৫৭. শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহার করা হয়েছে এমন ৪ টি রাগের নাম উল্লেখ কর।

উ: কেদার, মল্লার, ভৈরবী, বসন্ত প্রভৃতি।

৫৮. এই কাব্যকে শ্রীকৃষ্ণধামালী কে নাম দেন?

উ: বিমানবিহারী

৫৯. ‘মাকড়ের যোগ্য কভোঁ নহে গজুমতী’ – প্রবচনটি কোন খন্ডের?

উ: দান খন্ড ১৩০ সংখ্যক পদ

৬০. কৃষ্ণ ও রাধার স্বর্গীয় নাম কী কী?

উ: বিষ্ণু ও লক্ষ্মী

৬১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ভাগবতের প্রভাব আছে কোন খণ্ডে?

উ: বৃন্দাবন খণ্ড

৬২. কাব্যে কৃষ্ণ ও রাধার পারস্পরিক কথোপকথনের সূচনা হয় কোন্ খন্ড থেকে?

উ: দান

৬৩. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল উৎস রূপে কোন গ্রন্থগুলিকে নির্দেশ করা হয়?

উ: ভাগবত, বিষ্ণুপুরান, হরিবংশ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ

৬৪. বন পোড়ে আগ বড়ায়ি জগজনে জাণী/ মোর মন পোড়ে যে কুম্ভারের পণী। কোন্ খন্ডে কত সংখ্যক পদে আছে?

উ: বংশী খন্ড ১৩০ সংখ্যক পদে আছে

৬৫. মধ্যযুগে মোট কতজন চন্ডীদাসের অস্তিত্বের কথা জানা যায়?

উ: ৪

৬৬. কাব্যে ব্যবহৃত দুটি ব্রজবুলি শব্দ কি কি?

উ: পুনমী, জানল।

৬৭. কাব্যে রাধার বয়স কত জানা যায়?

উ: ১১

৬৮. কাব্যটির পুঁথিতে কত রকমের হস্তাক্ষর আছে?

উ: ৩

৬৯. বসন্তরঞ্জন তাঁর জীবদ্দশায় এই কাব্যের কটি সংস্করন প্রকাশ করেন?

উত্তর ৪

৭০. কাব্যে কত প্রকার প্রয়ার আছে?

উত্তর ৭

৭১. এই গ্রন্থের মূল্য নিরুপণ যথাযথভাবে হয়েছে বলে মনে হয় না, হলে এর আরো অনেক বেশি সমাদর হয় আমাদের দেশে। এ গ্রন্থটি কী কাব্য, কী সংগীত, কী গীতিনাট্য সবদিক থেকেই রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের প্রাচীন সংগীতকলার অত্যুৎকৃষ্ট প্রচেষ্টার পরিচায়ক- কথাটি কার?

উ: রাজেশ্বর মিত্র

৭২. বলরাম কৃষ্ণের পূর্বজন্মের কথা বলেছিলেন কোন খন্ডে?

উ: কালীয়দমন খন্ডে

৭৩. শ্ৰীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামটি কে গ্রহন করতে চান?

উ: অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

৭৪. শ্ৰীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কাহিনীর বিস্তৃতি কত দূর পর্যন্ত?

উ: মথুরা গমন

৭৫. শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ভূমিকা কে লেখেন?

উ: রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

৭৬. রাধাবিরহ “খন্ড” না হয়ে “অংশ “নামাঙ্কিত কেন?

উ: প্ৰক্ষিপ্ত

৭৭. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহৃত “ঘড়ী” শব্দের রবীন্দ্রনাথ কোন অর্থ করেছিলেন?

উ: ঘট

৭৮. বড়ু চণ্ডীদাস কে কে আদিতম চন্ডীদাস বলেছেন?

উ: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মুখবন্ধ ও লিপিকাল কে রচনা করেন।

৮০. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মুখবন্ধ ও লিপিকাল কে রচনা করেন?

উ: মুখবন্ধ রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। লিপিকাল – রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

৮১. শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামটি প্রথম প্রস্তাব করেন কে?

উ: নলিনীনাথ দাশগুপ্ত

৮২. দানখণ্ড আর বাণখণ্ড কোন্ পূরাণ থেকে নেওয়া?

উ: গীতগোবিন্দম্

৮৩. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল ছন্দ কী?

উ: মিশ্রবৃত্ত

৮৪. রাধাবিরহ সংক্ষিপ্ত – কে বলেছেন?

উ: বিমানবিহারী মজুমদার

৮৫. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথির লেখা কয়টি হাতের?

উ: প্রধাণত ২ টি। ৩য় হাতের লেখা ১ম হাতের অনুকরণ মতে এটা ৩, ১৭৮ পৃষ্ঠা (বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সমগ্র’) হতে পারে। কিন্তু অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য-এর

৮৬. “শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে শব্দদ্বৈতের ব্যবহারের প্রাচুর্য লক্ষ্য করিবার মতো”- এমন কয়েকটি শব্দদ্বৈতের উল্লেখ করুন।

উ: নিতি নিতি, মনে মনে ইত্যাদি।

৮৭. বড়ু কবি ‘নেহা’ শব্দটিকে কাব্যে কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন ?

উ: প্ৰেম

৮৮. “যেখানে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য শেষ সেখানে বৈষ্ণব পদাবলী শুরু” উক্তিটি কার?

উ: প্রমথনাথ বিশী

৮৯. কৃষ্ণের পালিত মা কে?

উ: যশোদা

৯০. কাব্যের প্রথম পদে কাদের কথা আছে?

উ: রাধা ও বড়াই

৯১. বড়ু চণ্ডীদাস নামটিতে ‘বড়ু’ কথাটির অর্থ কী?

উ: ব্ৰাহ্মণ

৯২. কাব্যে কি কি ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে?

উ: অনুষ্টুপ, পয়ার, ত্রিপদী, পাটিকা, ও মিশ্রকলাবৃও

৯৩. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কিসের কাব্য?

উ: লৌকিক প্রেমের কাব্য

৯৪. ‘কান্ত পাহুন কাম দারুন’- এখানে ‘পাহুন’ শব্দের অর্থ কী?

উ: ‘পাহুন’ কথার অর্থ ‘প্রবাসী’

৯৫. কৃষ্ণকে তাম্বুলের সাথে কি ফুল পাঠিয়েছিল?

উ: চম্পা ও নাগকেশর

৯৬. দান খণ্ডে কৃষ্ণ কত পণ দান চেয়েছিলেন?

উ: ১৬

৯৭. কাব্যে কোন গাছের কথা বলা হয়েছে ?

উ: কদম

৯৮. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ও চর্যাপদে আছে এমন রাগের নাম কী ?

উ: পটমঞ্জরী

৯৯. কোন কোন খণ্ডের পুঁথি খণ্ডিত?

উ: জন্ম ও রাধাবিরহ

১০০. সবচেয়ে কম পদ আছে কোন খণ্ডে?

উ: হার খণ্ড

আরো পড়ুন: (বিষয়ের ঊপর ক্লিক করুন)

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড পরিচয় দাও

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করো

বাংলা সাহিত্যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের গুরুত্ব আলোচনা কর

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কার ও প্রকাশ সম্পর্কে লিখুন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের নামকরণ প্রসঙ্গে লিখুন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কবি বড়ু চণ্ডীদাস সম্পর্কে লিখুন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে সমকালীন সমাজ বাস্তবতা ও সংস্কৃতির পরিচয়

আর্টিকেল’টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে দিন অথবা পোস্ট করে রাখুন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, তাতে আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।

গৌরব রায়

বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ।

লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

6.7k

SHARES

Related articles

"সোজন বাদিয়ার ঘাট" কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস

“সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস

ভূমিকা: বাংলা কাব্যের ভুবনে বাংলাদেশের মানসকবি জসীম উদদীনের (১৯০৩-১৯৭৬) আবির্ভাব বিশ শতকের তৃতীয় দশকে। তিনি রবীন্দ্র-নজরুল ও তিরিশের কবিদের বলয় ও প্রভাব মুক্ত থেকে কবিতায় এক নতুন ও ব্যতিক্রম স্বর সৃষ্টি করেছেন। সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৩) কবি জসীম উদদীনের দ্বিতীয় আখ্যান কাব্য। সমকালীন কবিরা যেখানে প্রায় সকলেই নগরচেতনা, নাগরিক জীবন ও আচার-আচরণ সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে তুলে এনেছেন, জসীম উদদীন সেখানে তার কবিতায় আবহমান বাংলার প্রকৃতি, সমাজ ও সাধারণ মানুষের জীবন-চিত্রকেই আন্তরিক নিষ্ঠা, অকৃত্রিম ভালবাসা ও দরদ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কবির বিকল্প জীবনবোধ, জীবনপদ্ধতি এবং জীবন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ উপন্যাসধর্মী রচনা। এ কাব্যে প্রেমভাবনা ও সমাজভাবনা দুইই পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। নিম্নে … “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস ১. অসাম্প্রদায়িক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যে অসাম্প্রদায়িকতা দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। এ আখ্যান কাব্যে হিন্দু-মুসলিমদের সহাবস্থান, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও তৎকালীন পরিবেশ ও ঘটনা পরিক্রমায় লিখিত। আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল/গ্রামে হিন্দু-মুসলমানদের একত্রে বসবাস, সম্প্রীতির পরিচয় আছে। বিভিন্ন কারণে দুই ধর্মের মধ্যে মারামারী ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে যায়। কবি এরূপ বর্ণনায় অসাম্প্রদায়িক হিসাবে চরম নিরপেক্ষতার বর্ণনা দিয়েছেন। “নমু পাড়ায় পূজা পরব, শঙ্ক কাঁসর বাজে, … মুসলমানের পাড়ায় বসে ঈদের মহোৎসবে,” ২. প্রেমভাবনা ও সমাজভাবনা দুইই পরস্পরের পরিপূরক: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যেপন্যাসের প্লট নির্মিত হয়েছে মুসলমান চাষীর ছেলে সোজন আর হিন্দু নমুর মেয়ে দুলীর অপূর্ব প্রেমের কাহিনীকে ঘিরে; তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিগত সামন্ত যুগের জমিদারি প্রথার নিষ্ঠরতার আলেখ্য। গ্রামের হিন্দু বালিকা দুলীর সাথে মুসলমানের ছেলে সোজনের আবল্য বন্ধুত্ব। বন্ধু থেকে আস্তে আস্তে প্রেমে পরিণত হয়। কবিতায়- “নমুদের মেয়ে আর সোজনের ভারি ভাব দুইজনে, লতার সঙ্গে গাছের মিলন, গাছের লতার সনে।“ প্রেমের তুলনায় সমাজ অতিমাত্রায় কাব্যের জায়গা দখল করে নিয়েছে। কাব্যে সামাজিক অনুষঙ্গের উপস্থাপন করেছেন কবি। কবিতাতে তিনি সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষকে আসার আহ্বান করেছেন। সমাজের মানুষের সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার, খেলাধুলা প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায় কাব্যটিতে। দুলির মায়ের কণ্ঠে সমাজের রূঢ় রূপটি প্রকাশ পায়- “পোড়ারমুখীলো, তোর জন্যেত পাড়ায় যে ঠেকা ভার, চূণ নাহি ধারি এমন লোকেরো কথা হয় শুনিবার!” ৩. জীবনবোধ, জীবনপদ্ধতি এবং জীবন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ রচনা: কবি পল্লিগীতির সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে। শহরজীবনে বসবাস করলেও তিনি পল্লিগীতির সংগ্রাহক হিসেবে গ্রামে কাজ করেছেন। ফলে তিনি মানুষের সাথে মিশতে পেরেছেন এবং তাঁর জীবনবোধ ও জীবন অভিজ্ঞতা হয়েছে সমৃদ্ধ। তাঁর জীবনপদ্ধতি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বড় কবিতার ধারক হিসেবেই তিনি পরিচিত। ৪. উপন্যাসধর্মী রচনা: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” একটি উপন্যাসধর্মী রচনা। কাব্যের কবিতাগুলো জসীম উদদীন উপন্যাসের ঢংয়ে লিখেছেন। এ যেন লোকজ ঐতিহ্যের প্রতীক। ৫. মৌলিক রচনাধর্মী ও অনন্য: অন্যেরা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় সম্পর্কিত কাহিনী থেকে নিয়েছেন। কিন্তু কবি জসীমউদ্দীন কাহিনী নিয়েছেন ঘর থেকে, গ্রাম থেকে, পল্লী গ্রাম-বাংলা থেকে। এখানে তিনি মৌলিক ও অনন্য। ৬. আধুনিকতা ও উদারনীতির বৈশিষ্ট্য: সময়কে এড়িয়ে না গিয়ে তাকে স্বীকার করে নিয়ে লেখা আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য। প্রাণিজগতের কল্যাণকামনা করে মানবিক হওয়াও আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য। এসবের সংমিশ্রণে জসীম উদদীন কবিতায় অবয়ব দিয়েছেন। হিন্দু কিশোরী দুলালী বা দুলী ও মুসলমান কিশোর সুজনের প্রেম নিয়ে মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গা লেগে যায়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে জসীমউদ্দীন লিখলেন- এক গেরামের গাছের তলায় ঘর বেঁধেছি সবাই মিলে . . . এক মাঠেতে লাঙল ঠেলি, বৃষ্টিতে নাই, রৌদ্রে পুড়ি সুখের বেলায় দুখের বেলায় ওরাই মোদের জোড়ের জুড়ি। ৭. চরিত্র নির্মাণে দক্ষতা: ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যে লেখক চরিত্রের আমদানি করেছেন, চরিত্রের বিকাশ ঘটিয়েছেন এবং চরিত্রের পরিণতি দেখিয়েছেন। চরিত্র যেন অনুভূতির মাধ্যমে কথা বলছে। তিনি চরিত্র অনুযায়ী ভাষার ব্যবহারেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ৮. কাহিনী ও ভাষা বিন্যাসে পাণ্ডিত্য: কাহিনী বিন্যাসে, ভাষা ব্যবহারে এবং উপমা-চিত্রকল্পে তার রচনায় লোক-কাব্য, পুঁথি-সাহিত্য, লোক-সঙ্গীতের কিছু প্রভাব রয়েছে। লোকজ উপাদানের ব্যবহার থাকলেও আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার কম; প্রায় নেই বললেই চলে। এখানেও জসীমের মুন্সিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। ৯. ছন্দ ও অলঙ্কারের প্রয়োগ: আধুনিক কবিতায় অলঙ্কারের প্রয়োগ লক্ষণীয়। কবি জসীমউদ্দীন কবিতায় উপমা-উৎপ্রেক্ষা, সমাসোক্তি ও অন্যান্য অলঙ্কারের যুতসই ব্যবহার ও প্রয়োগ দেখা যায়। তার অলঙ্কারের বেশিরভাগ উপাদানই লোকজ।

Read More
কপালকুণ্ডলার বংশ পরিচয় কী?

কপালকুণ্ডলার বংশ পরিচয় কী?

কপালকুণ্ডলা: বাংলা সাহিত্যের একটি চরিত্র। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে নবকুমার এক জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে এক কাপালিক তাকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার

Read More

Keto Diet Recipes

Keto for Beginners: A Simple 7-Day Meal Plan The ketogenic (keto) diet has taken the health and wellness world by storm, promising weight loss, increased

Read More
শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের নাটক?

শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের নাটক?

শর্মিষ্ঠা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক। এটি রচিত হয় ১৮৫৯ সালে। নাটকটি মহাভারতের কাহিনীকে উপজীব্য করে পাশ্চাত্য রীতিতে রচিত হয়। নাটকটির কাহিনী মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত

Read More
Gourab Roy

Gourab Roy

I completed my Honors Degree in Bangla from Shahjalal University of Science & Technology in 2022. Now, I work across multiple genres, combining creativity with an entrepreneurial vision.

বিশ্বসেরা ২০ টি বই রিভিউ

The content is copyright protected.