Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

প্রকৃতিবাদ কী বা প্রকৃতিবাদ কাকে বলে? প্রকৃতিবাদের সংজ্ঞার্থ প্রদান করুন

প্রকৃতিবাদ হচ্ছে “একটি ধারণা বা মতবাদ যা অনুসারে কেবলমাত্র প্রাকৃতিক নিয়ম এবং বলই (অতি প্রাকৃত অথবা আধ্যাত্মিক নয়) জগৎ কে পরিচালিত করতে পারে প্রকৃতিবাদ বা যথাস্থিতবাদ বা সাহিত্যে প্রকৃতিবাদ (Naturalism) হচ্ছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের সাহিত্যিক বাস্তবতাবাদের অনুরুপ একটি সাহিত্য আন্দোলন যেটি রোমান্টিকতাবাদের প্রত্যাখানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। তবে এই আন্দোলন নির্ধারণবাদ, বিচ্ছিন্নতা, বৈজ্ঞানিক, নৈব্যক্তিবাদ এবং সমাজিক ভাষ্যকে সাগ্রহে গ্রহণ করে এবটি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই আন্দোলন মূলত ফরাসি লেখক এমিল জোলার তত্ত্বগুলির পথানুসরণ করে।

বাস্তববাদ ও প্রকৃতিবাদ সমার্থক কোন মতবাদ নয়। বরং প্রকৃতিবাদ বা “Naturalism is the logical result of realism one is process and the aim ” এই দুটি মতবাদের অভিন্নতার বিভ্রান্তিকর অনুস্থান এখনও অব্যাহত বলেই দামিয়েল গ্রান্টের সতর্ক বিশ্লেষণ-

“Realism derives from philosophy and describe an objective the attainment of the real; Naturalism derives from natural philosophy or science and describes a method which shall educe to descries the attainment of real. Admittedly usage does not always makes this clear; realism is spoken of as technique and naturalism as tendency”

বাস্তববাদ থেকে প্রকৃতিবাদের ভিন্নতা বৈজ্ঞানিক নিমিত্তবাদ বা মনোবিজ্ঞানের পরিভাষায় নিয়তিবাদের পরিগ্রহণে যা কিনা প্রকৃতিবাদী লেখককে মানুষের নৈতিক বা মানষিক গুণাবলী অপেক্ষা মনস্তাত্তিক প্রকৃতি নির্ধারণে প্রণোদিত করে। এই প্রকৃতিবাদকে কেউ কেউ যথাযথবাদ বা পরিবেশ বাদও আখ্যা দিয়েছেন। এই অভিধার নিহিতার্থ অস্পষ্ট নয়। পরিস্থিতি বা পরিবেশের ফটোগ্রাফি প্রকৃতিবাদের বৈশিষ্ট্য। জীবন ও শিল্পের সম্বন্ধ বা দূরত্ব নিয়ে প্রকৃতিবাদী ভাবিত নন। হয়ত সচেতন নন, জীবনও সমাজের প্রতিমূর্তি রচনায় প্রকৃতিবাদীর স্বস্তি ও তৃপ্তি।

সাধারণভাবে বাস্তববাদ স্বভাবত মনস্তাত্ত্বিক বা Phycological realism (স্তাঁদাল) ও সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা বা Socio-economic realism (বালজাক) রোমান্টিকতা ও ভাববাদের আতিশয়্যজনিত প্রতক্রিয়ায় সৃষ্টি। অন্যদিকে এই রোমান্টিকতা বিরোধি মানসতা তেকে এবং ডারিইন জীবতত্ত্ব ও বস্তুতান্ত্রিক জীবনদর্শনের সমীকরণে প্রকৃতিবাদের প্রতিষ্ঠা। তাহলে বোঝা গেল, পরিবেশবাদ, বংশগতি তত্ত্বে এবং বৈজ্ঞানিক অভিব্যক্তিবাদ যেমন প্রকৃতিবাদের ধারণা, মানুষ নিয়তির কাছে অসহায়, ব্যাক্তিচরিত্রসমুহ ” helpless of product heredity and environment ” জড় বিশ্বের ফাঁদে সে বন্দি, নিয়তি নির্ধারিত তার দেহের দাবি, “পঞ্চভূতের ফাঁদে মানবমন চিরমূঙ্খলিত রক্তমাংসের দেহের কামনা, আকাঙ্ক্ষা ও তার জড়বিধান মানুষের জীবনের একমাত্র নিয়ন্ত্রন শক্তি।

বাস্তববাদের যে পরিণতি প্রকৃতিবাদে অথবা যে প্রকৃতিবাদ পরিণত বাস্তববাদ শিল্প সাহিত্যে প্রকৃতিবাদের প্রবক্তা দার্শনিক মনোবিজ্ঞানী হিপোলাইট টৈইন এর বিশ্বষণ প্রভাবসঞ্চারী ভূমিকা ভূমিকা নিয়েছে, তার মতে “মনকে আধ্যাত্নিক রহস্যময়তা মোড়কে বাঁদা বলে ধরা যায় না” বরং মানতে হয়।

ইন্দ্রিয়ানুভূতির প্রভাব মনের ওপর ক্রিয়াশীল। টেইনের ধারণা এই মহাবিশ্বের বস্তু একটি ‘Great mechanism’ মানুষ, মানুষের নৈতিক জীবন এবং কর্মকান্ডসমূহ- এই সবকিছুই বোঝা যেতে পারে কার্য ও কারণের সম্বন্ধসূত্রে। এখানে অলৌকিকতার স্থান নেই। এভাবেই গড়ে উঠেছে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি।

মনোবিজ্ঞানী টেইনের বিশ্লেষণ চিকিৎসাবিজ্ঞানী লুকাসের বংশগতিতত্ত্বের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সাহিত্যক্ষেত্রে জেলার The Experimental Novel (১৮৮০) শীর্ষক রচনাটি প্রকৃতিবাদের ইশতেহার হিসেবে গৃহিত হয়েছে, যেখানে তিনি বোঝাতে চান প্রকৃতিবাদীরা কেবল জগৎ ও জীবনকে পর্যবেক্ষণ করবে না, সমস্ত অনুপুঙ্খের রেকর্ড সংকলন করবে, চরিত্র সমূহে রুচি, আবেগ সংবেদনশীলতা নিয়ে রাসায়নিকের মতো বস্তুর কারবারি হবে।

আরো পড়ুন: (বিষয়ের উপর ক্লিক করুন)

প্রকৃতিবাদ কী বা প্রকৃতিবাদ কাকে বলে?

প্রকৃতিবাদের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করুন

প্রকৃতিবাদের উদ্ভবের ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ

প্রকৃতিবাদী লেখকদের পরিচয় দিন

বাংলা সাহিত্যে প্রকৃতিবাদের প্রভাব

সাহিত্যে প্রকৃতিবাদের প্রভাব সম্পর্কে লিখুন

আর্টিকেল’টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে দিন অথবা পোস্ট করে রাখুন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, তাতে আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।

গৌরব রায়

বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ।

লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

6.7k

SHARES

Related articles

"সোজন বাদিয়ার ঘাট" কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস

“সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস

ভূমিকা: বাংলা কাব্যের ভুবনে বাংলাদেশের মানসকবি জসীম উদদীনের (১৯০৩-১৯৭৬) আবির্ভাব বিশ শতকের তৃতীয় দশকে। তিনি রবীন্দ্র-নজরুল ও তিরিশের কবিদের বলয় ও প্রভাব মুক্ত থেকে কবিতায় এক নতুন ও ব্যতিক্রম স্বর সৃষ্টি করেছেন। সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৩) কবি জসীম উদদীনের দ্বিতীয় আখ্যান কাব্য। সমকালীন কবিরা যেখানে প্রায় সকলেই নগরচেতনা, নাগরিক জীবন ও আচার-আচরণ সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে তুলে এনেছেন, জসীম উদদীন সেখানে তার কবিতায় আবহমান বাংলার প্রকৃতি, সমাজ ও সাধারণ মানুষের জীবন-চিত্রকেই আন্তরিক নিষ্ঠা, অকৃত্রিম ভালবাসা ও দরদ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কবির বিকল্প জীবনবোধ, জীবনপদ্ধতি এবং জীবন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ উপন্যাসধর্মী রচনা। এ কাব্যে প্রেমভাবনা ও সমাজভাবনা দুইই পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। নিম্নে … “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও কবিমানস ১. অসাম্প্রদায়িক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যে অসাম্প্রদায়িকতা দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। এ আখ্যান কাব্যে হিন্দু-মুসলিমদের সহাবস্থান, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও তৎকালীন পরিবেশ ও ঘটনা পরিক্রমায় লিখিত। আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল/গ্রামে হিন্দু-মুসলমানদের একত্রে বসবাস, সম্প্রীতির পরিচয় আছে। বিভিন্ন কারণে দুই ধর্মের মধ্যে মারামারী ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে যায়। কবি এরূপ বর্ণনায় অসাম্প্রদায়িক হিসাবে চরম নিরপেক্ষতার বর্ণনা দিয়েছেন। “নমু পাড়ায় পূজা পরব, শঙ্ক কাঁসর বাজে, … মুসলমানের পাড়ায় বসে ঈদের মহোৎসবে,” ২. প্রেমভাবনা ও সমাজভাবনা দুইই পরস্পরের পরিপূরক: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” কাব্যেপন্যাসের প্লট নির্মিত হয়েছে মুসলমান চাষীর ছেলে সোজন আর হিন্দু নমুর মেয়ে দুলীর অপূর্ব প্রেমের কাহিনীকে ঘিরে; তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিগত সামন্ত যুগের জমিদারি প্রথার নিষ্ঠরতার আলেখ্য। গ্রামের হিন্দু বালিকা দুলীর সাথে মুসলমানের ছেলে সোজনের আবল্য বন্ধুত্ব। বন্ধু থেকে আস্তে আস্তে প্রেমে পরিণত হয়। কবিতায়- “নমুদের মেয়ে আর সোজনের ভারি ভাব দুইজনে, লতার সঙ্গে গাছের মিলন, গাছের লতার সনে।“ প্রেমের তুলনায় সমাজ অতিমাত্রায় কাব্যের জায়গা দখল করে নিয়েছে। কাব্যে সামাজিক অনুষঙ্গের উপস্থাপন করেছেন কবি। কবিতাতে তিনি সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষকে আসার আহ্বান করেছেন। সমাজের মানুষের সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার, খেলাধুলা প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায় কাব্যটিতে। দুলির মায়ের কণ্ঠে সমাজের রূঢ় রূপটি প্রকাশ পায়- “পোড়ারমুখীলো, তোর জন্যেত পাড়ায় যে ঠেকা ভার, চূণ নাহি ধারি এমন লোকেরো কথা হয় শুনিবার!” ৩. জীবনবোধ, জীবনপদ্ধতি এবং জীবন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ রচনা: কবি পল্লিগীতির সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে। শহরজীবনে বসবাস করলেও তিনি পল্লিগীতির সংগ্রাহক হিসেবে গ্রামে কাজ করেছেন। ফলে তিনি মানুষের সাথে মিশতে পেরেছেন এবং তাঁর জীবনবোধ ও জীবন অভিজ্ঞতা হয়েছে সমৃদ্ধ। তাঁর জীবনপদ্ধতি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বড় কবিতার ধারক হিসেবেই তিনি পরিচিত। ৪. উপন্যাসধর্মী রচনা: “সোজন বাদিয়ার ঘাট” একটি উপন্যাসধর্মী রচনা। কাব্যের কবিতাগুলো জসীম উদদীন উপন্যাসের ঢংয়ে লিখেছেন। এ যেন লোকজ ঐতিহ্যের প্রতীক। ৫. মৌলিক রচনাধর্মী ও অনন্য: অন্যেরা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় সম্পর্কিত কাহিনী থেকে নিয়েছেন। কিন্তু কবি জসীমউদ্দীন কাহিনী নিয়েছেন ঘর থেকে, গ্রাম থেকে, পল্লী গ্রাম-বাংলা থেকে। এখানে তিনি মৌলিক ও অনন্য। ৬. আধুনিকতা ও উদারনীতির বৈশিষ্ট্য: সময়কে এড়িয়ে না গিয়ে তাকে স্বীকার করে নিয়ে লেখা আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য। প্রাণিজগতের কল্যাণকামনা করে মানবিক হওয়াও আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য। এসবের সংমিশ্রণে জসীম উদদীন কবিতায় অবয়ব দিয়েছেন। হিন্দু কিশোরী দুলালী বা দুলী ও মুসলমান কিশোর সুজনের প্রেম নিয়ে মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গা লেগে যায়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে জসীমউদ্দীন লিখলেন- এক গেরামের গাছের তলায় ঘর বেঁধেছি সবাই মিলে . . . এক মাঠেতে লাঙল ঠেলি, বৃষ্টিতে নাই, রৌদ্রে পুড়ি সুখের বেলায় দুখের বেলায় ওরাই মোদের জোড়ের জুড়ি। ৭. চরিত্র নির্মাণে দক্ষতা: ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যে লেখক চরিত্রের আমদানি করেছেন, চরিত্রের বিকাশ ঘটিয়েছেন এবং চরিত্রের পরিণতি দেখিয়েছেন। চরিত্র যেন অনুভূতির মাধ্যমে কথা বলছে। তিনি চরিত্র অনুযায়ী ভাষার ব্যবহারেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ৮. কাহিনী ও ভাষা বিন্যাসে পাণ্ডিত্য: কাহিনী বিন্যাসে, ভাষা ব্যবহারে এবং উপমা-চিত্রকল্পে তার রচনায় লোক-কাব্য, পুঁথি-সাহিত্য, লোক-সঙ্গীতের কিছু প্রভাব রয়েছে। লোকজ উপাদানের ব্যবহার থাকলেও আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার কম; প্রায় নেই বললেই চলে। এখানেও জসীমের মুন্সিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। ৯. ছন্দ ও অলঙ্কারের প্রয়োগ: আধুনিক কবিতায় অলঙ্কারের প্রয়োগ লক্ষণীয়। কবি জসীমউদ্দীন কবিতায় উপমা-উৎপ্রেক্ষা, সমাসোক্তি ও অন্যান্য অলঙ্কারের যুতসই ব্যবহার ও প্রয়োগ দেখা যায়। তার অলঙ্কারের বেশিরভাগ উপাদানই লোকজ।

Read More
কপালকুণ্ডলার বংশ পরিচয় কী?

কপালকুণ্ডলার বংশ পরিচয় কী?

কপালকুণ্ডলা: বাংলা সাহিত্যের একটি চরিত্র। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে নবকুমার এক জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে এক কাপালিক তাকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার

Read More

Keto Diet Recipes

Keto for Beginners: A Simple 7-Day Meal Plan The ketogenic (keto) diet has taken the health and wellness world by storm, promising weight loss, increased

Read More
শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের নাটক?

শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের নাটক?

শর্মিষ্ঠা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক। এটি রচিত হয় ১৮৫৯ সালে। নাটকটি মহাভারতের কাহিনীকে উপজীব্য করে পাশ্চাত্য রীতিতে রচিত হয়। নাটকটির কাহিনী মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত

Read More
Gourab Roy

Gourab Roy

I completed my Honors Degree in Bangla from Shahjalal University of Science & Technology in 2022. Now, I work across multiple genres, combining creativity with an entrepreneurial vision.

বিশ্বসেরা ২০ টি বই রিভিউ

The content is copyright protected.