ক্লাসিক সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য : ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদী সাহিত্যতত্ত্বের আলোচনার ধারায় এ পর্বের সাহিত্যিকদের লেখনী, রচনায় কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদী সাহিত্যিকরা মূলত যুক্তিকে গুরুত্ব দেন আর আবেগকে দমন করেন। অর্থাৎ ‘reason versus passion’। তারা বলেন, শিল্পে যা কিছু ঘটবে তার সবকিছুই হবে যুক্তির মাধ্যমে, আবেগের তাড়নায় নয়। কোন শিল্পকে ক্লাসিক্যাল হতে হলে তার সবকিছুকে হতে হবে যুক্তিনির্ভর। ক্লাসিসিজমে কথায় বা বক্তব্যে ছন্দ থাকা আবশ্যক। এটি শৃঙ্খলাকে সংহত রাখে এবং সকল প্রকার অস্পষ্টতাকে এড়িয়ে চলে। শিল্প বস্তুটিকে এঁরা এমনভাবে সমুন্নত ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে যে তাতে অতিরিক্ত কোন কিছু থাকে না। এটি কাল্পনিকতাকে পরিহার করে। যা কিছু সাহিত্যের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় সে সকল বিষয়কে ক্লাসিসিজম ত্যাগ করে। এটি সব সময় ঐক্য, সমন্বয় ও সামঞ্জস্য দাবি করে। উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ক্লাসিসিজমের নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা যায় :
১। যুক্তি ও বিচারবোধ
২। প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ
৩। যথাযথ ক্রমবিন্যাস
৪। পরিমিতিবোধ
৫। কালজয়িতা
৬। মহৎ প্রেরণায় উজ্জীবিতকরণ
৭। বস্তুনিষ্ঠতা
৮। সত্যের উপস্থিতি।
আরো পড়ুন: (বিষয়ের উপর ক্লিক করুন)
ক্লাসিক সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন
ক্লাসিসিজমের উদ্ভবের ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ
ক্লাসিসিজমের প্রতিনিধিত্বশীল লেখকদের পরিচয়