ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের লেখকগোষ্ঠীর দ্বারা বাংলা গদ্যের রচনা শুরু হয়। রাজা রামমোহন রায় গদ্যের সেই ভাষাকে দৃঢ়তা দান করলেন। এই বাংলা মোটামুটিভাবে মনের সবরকম ভাবপ্রকাশের উপযোগী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তখনও সেই গদ্য সাহিত্য রচনার উপযোগী হয়ে ওঠে নি। শুধু লেখকের বক্তব্য বিষয়কে প্রকাশ করা বা শুধু অভিধানগত অর্থ প্রকাশ করাই সাহিত্যিক গদ্য ভাষার কাজ নয়, পাঠকের মনে একটা বিশেষ রসের সৃষ্টি করা, পাঠককে রসের রাজ্যে, ভাবের রাজ্যে নিয়ে যাওয়াই সাহিত্যিক গদ্য ভাষার কাজ। মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার অথবা রামমোহন রায় যে গদ্যভাষায় গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তা যদিও প্রাঞ্জল এবং সেকালের বিচারে যথেষ্ট সুবোধ্য তবুও তার দ্বারা সাহিত্য সৃষ্টি হওয়া সম্ভব ছিল না। অক্ষয়কুমার দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রধানত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০- ১৮৯১) সময় হতে সেই গদ্যের জন্ম হয় যে গদ্যে সাহিত্য রচনা সম্ভব। মৃত্যুঞ্জয় ও রামমোহন বাংলা গদ্যের ভিত্তিস্থাপনা করে গিয়েছিলেন, বিদ্যাসাগর তাতে প্রাণ ও সৌন্দর্য সঞ্চার করে তাকে সাহিত্য-রচনার উপযোগী করে তুললেন ।
১৮২০ খ্রীস্টাব্দে বিদ্যাসাগরের জন্ম। ঐ সময়ে বাংলার ধর্ম ও সমাজ জীবন এক ক্রান্তিকালের মুখোমুখি। ৮ বছর বয়সে বিদ্যাসাগর কলকাতায় আসেন এবং ১৮৪১ খ্রীস্টাব্দে তাঁর ছাত্র জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এর পরবর্তী অধ্যায়ের নায়ক তিনিই !
শিবনাথ শাস্ত্রী বলেছেন, “এক্ষণে আমরা বঙ্গ সমাজের ইতিবৃত্তের যে যুগে প্রবেশ করিতেছি, তাঁহার প্রধান পুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।”
বস্তুত তাঁর বিচিত্র জীবন, অসাধারণ মেধা, তীক্ষ্ণ বিচারবুদ্ধি এবং চরিত্রের দৃঢ়তা প্রবাদবাক্যে পরিণত। মেদিনীপুরের রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হলেও তাঁর চরিত্র ছিল রক্ষণশীলতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত হলেও ইংরেজী ভাষায় তাঁর দখল ছিল ঈর্ষনীয়। বিধবা বিবাহ চালু করা ও বহুবিবাহ রোধ করার ব্যাপারে বিদ্যাসাগর অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। নারীশিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা ঐতিহাসিক। তাঁর চরিত্রের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল যে, তিনি খাঁটি বাঙালী হওয়া সত্ত্বেও য়ূরোপের গ্রহণীয় বিষয়গুলি আত্তিকৃত করার ব্যাপারে কখনই দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন না। সমাজ-সংস্কারমূলক কাজ-কর্মের জন্যে বিদ্যাসাগর প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছেন। কিন্তু বাংলা সাহিত্যেও তাঁর অবদান কিছু কম নয়। সাহিত্যিক গদ্যের প্রথম শিল্পী হিসেবেই সাহিত্যের ইতিহাসে তাঁর স্থান নির্ণীত হয়েছে—যার সম্বন্ধে দ্বিমতের অবকাশ বিশেষ নেই।
বিদ্যাসাগরের রচনাবলীর পরিচয় :
অনুবাদমূলক রচনা : বিদ্যাসাগরের অধিকাংশ রচনাই অনুবাদমূলক—সংস্কৃত, ইংরেজী ও হিন্দুস্থানী থেকে স্বাধীনভাবে ভাষাস্তর। ১৮৪৭ থেকে ১৮৯১ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে তিনি নানা গ্রন্থ অনুবাদ করেন। অবশ্য ১৮৪৭-এর আগেও ভাগবতের কৃষ্ণলীলা অবলম্বনে তিনি বাসুদেবচরিত রচনা করেন।
‘বাসুদেব চরিত’ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পাঠ্যপুস্তক রূপেই রচিত হয়েছিল! এই বইটির ভাষা কেমন ছিল তা জানবার এখন কোন উপায় নেই। কারণ এ বই কোথাও পাওয়া যায় নি। ১৮৪৭ খ্রীস্টাব্দে রচিত বেতাল পঞ্চবিংশতি ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পাঠ্যপুস্তকরূপে রচিত ও প্রকাশিত হয়। এটি হিন্দী বেতাল পচচীসী নামক গ্রন্থের অনুবাদ। ১৮৬৪ খ্রীস্টাব্দে কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটক অবলম্বনে রচিত হয় শকুন্তলা। এটি ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকের স্বচ্ছন্দ গদ্যানুবাদ। সীতার বনবাস (১৮৬০) ভবভূতির উত্তররামচরিত ও বাল্মীকির রামায়ণের উত্তরকাণ্ডের আখ্যান অবলম্বনে রচিত। ইংরেজী থেকেও বিদ্যাসাগর অনেক রচনা অনুবাদ করেছিলেন। মার্শম্যানের History of Bengal-এর অনুবাদ বাঙ্গলার ইতিহাস (১৮৪৮), চেম্বার্সের Biographies অনুসরণে রচিত জীবনচরিত (১৮৪৯) ও আখ্যান মঞ্জুরী। একই লেখকের Rudiment of Knowledge অবলম্বনে ১৮৫১ খ্রীস্টাব্দে লেখা হয় বোধোদয়। ঈশপস্ ফেবল্স-এর অনুবাদ কথামালা (১৮৫৬), শেক্সপীয়ারের ‘কমেডি অব এররস’ অবলম্বনে ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯) দেশীয় পটভূমিতে রচিত হয় কাহিনীটিকে দেশীয় রূপ দেওয়ার জন্যে।
মৌলিক রচনা : অনুবাদ ছাড়া বিদ্যাসাগর মৌলিক গ্রন্থাদিও লিখেছিলেন এবং তার সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। তাঁর রচিত সংস্কৃতভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৩) বাঙালী প্রণীত সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস। বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক (১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড ১৮৫৫) এবং বহু বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার (১ম-১৯৭১, ২য় খণ্ড ১৮৭৩) নামক পুস্তিকাসমূহ তাঁর পাণ্ডিত্য ও বিশ্লেষণ শক্তির পরিচায়ক।
তাঁর স্বরচিত জীবনী বিদ্যাসাগর চরিত (১৮৯১), প্রভাবতী (১৮৬৩) এবং রত্নপরীক্ষা মোটামুটি সুখপাঠ্য। তাঁর স্বরচিত জীবনচরিতে বাল্যকাল পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ গ্রন্থটি রচিত হয় বন্ধুকন্যা প্রভাবতীর মৃত্যুর স্মরণে। ১৮৬৩ খ্রীস্টাব্দে রচিত ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’-ই বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম শোককাব্য ।
বিদ্যাসাগর তাঁর সমাজ-সংস্কারমূলক কাজের দ্বারা অনেকের বিরাগভাজন হন এবং তাঁরা বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে নানা কুৎসা রটনা করে। বিদ্যাসাগর ছদ্মনামে পুস্তিকার মারফৎ ঐ সব কুৎসার প্রতিবাদ করেন। পুস্তিকাগুলিতে সরস ব্যঙ্গের আভাস মেলে। ঐ পুস্তিকাগুলি — অতি অল্প হইল আবার অতি অল্প হইল (১৮৭৩) এবং ব্রজবিলাস (১৮৮৪)। এগুলি কষ্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোষ্য— এই এই ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়।
বিদ্যাসাগরের রচনাবলীর মূল্যায়ন : বিদ্যাসাগর স্মরণীয় তাঁর সমাজসংস্কারমূলক কাজের জন্যে। কিন্তু সাহিত্য রচনাও যে তাঁর অনায়ত্ত ছিল না তার প্রমাণ নিহিত আছে তাঁর রচিত গ্রন্থাদির মধ্যে। তাঁর অধিকাংশ রচনাই অনুবাদমূলক। ইংরেজী, হিন্দী ও সংস্কৃত ভাষায় রচিত গ্রন্থের যে সমস্ত অনুবাদ তিনি করেছিলেন সেগুলিকে নিছক অনুবাদ না বলে স্বাধীন ভাষান্তর বলাই শ্রেয়। শেক্সপীয়রের Comedy of Errors-এর অনুবাদে তো তিনি পাত্র-পাত্রীদের নাম-ধামও বদলে দিয়েছেন। তাঁর অনুবাদসমূহে মৌলিক গ্রন্থের স্বাদটি কোথাও হারিয়ে যায় না। অনুবাদ যে ভাষাকে পুষ্ট করে এই বোধ থেকে বিদ্যাসাগর অনুবাদ-কর্মে ব্রতী হন এবং বাংলা ভাষাকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করেন।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদ্যাসাগর ছিলেন সমাজ-সংস্কারক। সুতরাং তাঁর সাহিত্য চিন্তায় সমাজের ভালো-মন্দ প্রতিফলিত হওয়া স্বাভাবিক। বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনাসমূহ সমাজের ভালোমন্দের দিকে লক্ষ্য রেখে রচিত। বিধবা বিবাহের সমর্থনে এবং বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের বিপক্ষে বিদ্যাসাগরের জেহাদ তো সকলেরই জানা। এই সমস্ত কারণে তিনি সমাজের রক্ষণশীল ব্যক্তিদের বিরাগভাজন হন। সমস্ত রক্ষণশীল ব্যক্তিদের তাঁর সম্বন্ধে অলীক কুৎসার জবাবে বিদ্যাসাগর যে মৌলিক গ্রন্থসমূহ রচনা করেন সেগুলির মধ্যে লঘুরসের স্পর্শ অনুভব করা যায়। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ব্যঙ্গের কশাঘাতে ধরাশায়ী করার উদ্দেশ্য নিয়ে রচিত হলেও তা কখনই রুচি লঙ্ঘন করে নি। বস্তুত হাস্যরসের মাধ্যমে ঐগুলির মধ্যে গভীর এবং যুক্তিপূর্ণ আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর। গভীর যুক্তিজালের সঙ্গে এই ধরনের উচ্চাঙ্গের রসিকতা বাংলা ভাষায় অল্পই আছে।
বিদ্যাসাগর : বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী : বিদ্যাসাগরের গদ্যই পরবর্তী দেড়শ বছর বাংলা সাহিত্যিক গদ্যকে নিয়ন্ত্রিত করেছে।
এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্যটি উদ্ধারযোগ্য : “বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যভাষার উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সুবিভক্ত, সুবিন্যস্ত, সুপরিচ্ছন্ন এবং সুসংযত করিয়া তাহাকে সহজগতি ও কার্যকুশলতা দান করিয়াছেন—এখন তাহার দ্বারা অনেক সেনাপতি ভাবপ্রকাশের কঠিন বাধাসকল পরাহত করিয়া সাহিত্যের নব নব ক্ষেত্র আবিষ্কার ও অধিকার করিয়া লইতে পারেন—কিন্তু যিনি এই সেনানীর রচনাকর্তা, যুদ্ধজয়ের যশোভাগ সর্বপ্রথম তাঁহাকে দিতে হয়।”
রবীন্দ্রনাথের এই উক্তি নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে, বিদ্যাসাগরই বাংলা সাহিত্যিক গদ্যের জনক তথা বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক শিল্পী। বিদ্যাসাগরের গদ্যের গঠনশ্রী ও মৌলিকতা বিশ্লেষণ করার আগে তাঁর রচিত গদ্যের একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে :
“লক্ষ্মণ বলিলেন আর্যে! এই সেই জন্মস্থান মধ্যবর্তী প্রস্রবণগিরি। এই গিরির শিখরদেশ আকাশপথে সতত সঞ্চরমাণ জলধরমণ্ডলীর যোগে নিরন্তর নিবিড় নীলিমায় অলঙ্কৃত। অধিত্যকাপ্রদেশ ঘনসন্নিবিষ্ট বিবিধ বন-পাদপসমূহে আচ্ছন্ন থাকাতে সতত স্নিগ্ধ, শীতল ও রমণীয়; পাদদেশে প্রসন্নসলিলা গোদাবরী তরঙ্গ বিস্তার করিয়া প্রবলবেগে গমন করিতেছে।” (সীতার বনবাস)
বিদ্যাসাগরের অনুবাদ-কর্মের এই দৃষ্টান্তটি থেকে তাঁর গদ্য ভাষা সম্বন্ধে যে কথাগুলো বলা যায় তা হ’ল :
প্রথমত, বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার নিজস্ব বাক্যগঠন রীতিটি আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। প্রত্যেক ভাষায় বাক্যে কর্তা, ক্রিয়া, কর্ম প্রভৃতি পদের কার কোথায় অবস্থান এ সম্পর্কে বিশেষ নিয়ম থাকে। বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর সেই নিয়মটি আবিষ্কার ও প্রয়োগ করে বাংলা ভাষাকে সুন্দর, সাবলীল ও গতিসম্পন্ন করে তুললেন।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় প্রথম ইংরেজী ধরনের ছেদচিহ্নগুলি ব্যবহার করে বাংলা গদ্যভাষা পড়বার সুবিধা করে দিলেন। একটি বাক্য উপযুপ্ত জায়গায় থেমে পড়তে পারলে বাংলা গদ্যভাষায় একটি ছন্দের সৃষ্টি হয়। উপযুক্ত ছেদচিহ্নের অভাবে বিদ্যাসাগরের আগে লেখকরা একেবারে দুটি তিনটি বাক্যের পরে একটি দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করতেন। ফলে একাধিক বাক্যের কর্তা, ক্রিয়া, কর্ম মিলে একটা জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতো। সেই রকম গদ্য পড়ে তার অর্থ বোঝাই অনেক সময় কঠিন হতো। বিদ্যাসাগরের গদ্যে প্রত্যেকটি বাক্য আলাদা হলো এবং ছেদচিহ্নের যথাযথ প্রয়োগ থাকায় বাক্যের অন্তর্নিহিত ছন্দটি সহজেই পাঠকেরা বুঝতে পারলেন।
তৃতীয়ত, বিদ্যাসাগর তাঁর ধ্বনিমাধুর্যসম্পন্ন তৎসম শব্দের প্রচুর ব্যবহার করে ভাষাকে সুশ্রাব্যতা দান করলেন। বস্তুত বাংলা গদ্যের কায়া নির্মাণে পূর্ববর্তী লেখকগণের অবদান থাকলেও তাঁর শ্রী ও স্ত্রী— বিদ্যাসাগরের একক কৃতিত্বে সম্ভব হয়েছিল। বিদ্যাসাগর মোটামুটি সাধুভাষায় কাঠামোর ওপর তাঁর গদ্যকে প্রতিষ্ঠিত করলেও যথেষ্ট সরল ভাষাও লিখেছিলেন। বিদ্যাসাগরের সাধু গদ্যকে বঙ্কিমচন্দ্র পরবর্তীকালে আরও সহজ ও সুবোধ্য করে তাকে সর্বপ্রকার সাহিত্য রচনার উপযোগী করে তুলেছিলেন।
বাংলা সাহিত্যিক গদ্যের প্রথম শিল্পীর মূল্যায়নে ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যটি উদ্ধৃতিযোগ্য; “আধুনিক কালের গদ্যে অনেক বৈচিত্র্য দেখা গেছে, কিন্তু পদান্বয় ও যতিবন্ধনে এখনও আমরা বিদ্যাসাগরকে ছাড়িয়ে নতুন কোন পথ আবিষ্কার করতে পারিনি—যদি কেউ সেরকম দুঃসাধ্য চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেও থাকেন, তবু সে রীতি এখনও জনসমর্থন লাভ করতে পারেনি—জনবল্লভতা তো দূরের কথা।”