অষ্টম সর্গের নাম প্রেতপুরী। লক্ষ্মণের দুর্দশায় শােকে মর্মাহত রামচন্দ্রের করুন অবস্থা দেখে দেবী পার্বতী অত্যন্ত দুঃখ বােধ করলেন। মহাদেব পার্বতীর দুঃখের কারণ জেনে প্রতিকারের উপায় বলে দিলেন। মায়াদেবী রামচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে প্রেতপুরীতে যাবেন, সেখানে দশরথের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে এবং দশরথ রামকে লক্ষ্মণের জীবন লাভের উপায় বলে দেবেন। এই সূত্রে মধুসূদন প্রেতপুরীর এক সুদীর্ঘ বর্ণনা দিয়েছেন। সুদীর্ঘ নরক পরিক্রমার শেষে রামচন্দ্রের সঙ্গে দশরথের সাক্ষাৎ বর্ণিত হয়েছে। অশরীরী দশরথ লক্ষ্মণের প্রাণ ফিরে পাওয়ার উপায় জানালেন। সুগন্ধমাদন পর্বতের শুঙ্গ থেকে বিশল্যকরণী নামক স্বর্ণাভ লতা এনে চিকিৎসা করলে ফললাভ হবে। রামচন্দ্র সবিস্ময়ে পিতাকে প্রণাম করে লঙ্কার উদ্দেশ্যে প্রত্যাগমন করলেন।
মেঘনাদবধ কাব্য নবম সর্গ ব্যাখ্যা
নবম সর্গের মূল ঘটনা মেঘনাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে “সংস্ক্রিয়া’ একদিকে রামচন্দ্রের শিবিরে উল্লাস আনন্দের উচ্ছ্বাস এবং অপরদিকে লঙ্কাপুরীতে হতাশা ও শােকের প্রকাশ