প্রডাক্ট রিভিউ বলতে একটা আর্টিকেল যেখানে আপনি একটা প্রডাক্ট সম্পর্কে আপনার ভালো লাগা বা খারাপ লাগা গুলা লিখবেন তাকে বোঝায়। মূলত প্রডাক্টটা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি, এটা থেকে আপনি কী রকম ফলফাল পেয়েছেন, কেন এটা ব্যবহার করা লাভজনক ইত্যাদি লিখবেন। সবশষে ওই প্রডাক্ট কেনার লিঙ্ক (স্পেশাল এফিলিয়েট লিংক) আর্টিকেলে শেয়ার করবেন। ওই লিঙ্ক থেকে কেউ প্রডাক্টটা কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।
প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার নিয়ম:
প্রথমত, প্রডাক্ট রিভিউ আর্টকেল লেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যদি প্রডাক্টটা আসলেই আপনি কিনে থাকেন এবং আপনার সাথে থাকে। এতে আপনার রিভিউটা অনেক বিশ্বাসযোগ্য হবে এবং আপনার কনভার্শন রেট বেড়ে যাবে। এছাড়া আপনি একচুয়েলি প্রডাক্টটা ব্যবহার করলে রিভিউ লেখা আপনার জন্য অনেক ইজি হয়ে যাবে। প্রডাক্টটা নিয়ে আপনার মতামত, অভিজ্ঞতা সুন্দর করে লেখলেই ভালো মানের একটা রিভিউ আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। কিন্তু প্রডাক্টটা একচুয়েলি কিনে রিভিউ লেখার উপায় আমাদের অনেকেরই নেই। সেক্ষেত্রে আপনাকে লেখা শুরু করার আগে রিসার্চ করতে হবে। রিসার্চ একটা ভালো আর্টিকেলের প্রধান শর্ত। রিসার্চ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রডাক্টটা সম্পর্কে ইনফরমেশন নেওয়া যেগুলা ইউজ করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন।
দ্বিতীয়ত, আপনাকে ইনফরমেশন নিতে হবে। তারপর প্রডাক্টটা সম্পর্কে কী কী বলা আছে, এর ফিচার্স কি, জেনারেল ডেস্ক্রিপশনে কি লেখা আছে, কাস্টমার রিভিউ কেমন, অন্যান্য কাস্টমাররা প্রডাক্টটা নিয়ে কী কী বলেছে ইত্যাদি। এসব থেকে আপনাকে প্রডাক্টটা সম্পর্কে ইনফর্মেশন নিয়ে আর্টিকেলটা লিখতে হবে। এছাড়াও, গুগুলে আপনার প্রডাক্টটা লিখে সার্চ দিন। দেখুন প্রথম ১০টা সার্চ রেজাল্টে কি কি আছে। প্রত্যেকটা সাইটে গিয়ে দেখুন প্রডাক্টটা সম্পর্কে কি লেখা আছে। এখান থেকে আইডিয়া পাবেন কিভাবে আর্টিকেলটা লেখা লাগবে, কি কি ইনফর্মেশন থাকা লাগবে আর্টিকেলে।
তৃতীয়ত, রিসার্চ শেষে যখন আপনার কাছে পর্যাপ্ত ইনফর্মেশন থাকবে প্রডাক্টটা নিয়ে লেখার জন্য, তখন লেখা শুরু করুন। প্রথমেই প্রডাক্টটা যদি কোনো ব্র্যান্ড এর হয়, তখন ওই ব্র্যান্ডটা সম্পর্কে কিছু কথাবার্তা লিখুন। এখানে বলার চেষ্টা করুন ব্র্যান্ডটা কেনো ভালো, সবাই কেনো এটার প্রডাক্ট ব্যবহার করে। এছাড়াও ব্র্যান্ডটা নিয়ে আরো জেনারেল কথাবার্তা চাইলে লিখতে পারেন।
এরপর, প্রডাক্টটা নিয়ে লেখা শুরু করুন। ফার্স্টেই প্রডাক্টটা সম্পর্কে কিছু জেনারেল কথাবার্তা লিখুন। এই প্যারা থেকে আপনার ভিজিটররা একটা আইডিয়া পাবে প্রডাক্টটা সম্পর্কে। এরপর প্রডাক্টটার ফিচার্স, স্পেসিফিকাশন্স, সুবিধা, অসুবিধা, কেন আপনি প্রডাক্টটা পছন্দ করেন এসব লিখুন। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আলাদা সাব হেডিং ইউজ করুন, বুলেট পয়েন্ট ইউজ করুন যেখানে করা লাগে। প্রডাক্টের উপর নির্ভর করে অনেক কিছু যোগ হতে পারে, অথবা বাদ দেওয়া যেতে পারে। যেমন, আপনি যদি কোনো টেকনিক্যাল প্রডাক্ট নিয়ে লিখেন, তাহলে সেটা কিভাবে ইউজ করতে হয়, সেট আপ করতে হয় এসব অবশ্যই লিখবেন। আবার যদি কোনো হেলথ রিলেটেড প্রডাক্ট হয়, তাহলে সেটার কোনো সাইড এফেক্ট থাকলে সেগুলা লেখার ট্রাই করবেন।
চতুর্থত, আর্টিকেলে যেখানে প্রয়োজন মনে হয় ইমেজ ব্যবহার করবেন। ইমেজ একটা ভালো আর্টিকেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ইমেজ না থাকলে আপনার আর্টিকেলটা একদম বোরিং হবে এবং ভিজিটররা পড়ে মজা পাবে না। তাই বেশি বেশি ইমেজ ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। তবে, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ইমেজটা যেন প্রাসংগিক হয় এবং আর্টিকেলটার সাথে যায়। যদি মনে করেন ইমেজটা থেকে আপনার ভিজিটরকে এক্সট্রা ভ্যালু দিবে, তবেই সেটা আর্টিকেলে এড করবেন। এছাড়াও, যেখানে যেখানে আপনি প্রাসংগিক মনে করেন, ভিডিও এড করতে পারবেন। ভিডিও আপনার আর্টিকেলকে আরো অনেকগুনে আকর্ষনীয় করবে ও কোয়ালিটি বাড়িয়ে দিবে। তবে অবশ্যই ভিডিও টাকে আপনার টপিকের সাথে প্রাসংগিক হতে হবে। ভিডিও এম্বেড করা একদম লিগ্যাল, এতে আপনি কোনো ধরনের সমস্যায় পড়বেননা।ভিডিও খুব সহজে ভিজিটরকে প্রডাক্টটা সম্পর্কে ভালো ধারণা দেয়। এছাড়াও, ভিডিও সাইটের এভারেজ সেশন ডিউরেশন বাড়ায়, যেটা র্যাঙ্কিং এর জন্য অনেক হেল্পফুল।
উৎস: Writers Motion