Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta
Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta

বিশ্বসেরা ২০ টি বইয়ের নাম

আমাকে যদি বলা হয়, বিশ্বসেরা ১০০ টি বইয়ের লিস্ট করার জন্য তাহলে এই ২০ টা বই অবশ্যই লিস্টে থাকবে। কেননা প্রেম-ভালোবাসা, যুদ্ধ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি, ধর্মনীতি’র সবকিছুই যেন এই বইগুলোতে বার বার খুঁজে পাই।

গৌরব রায়, বাংলা বিভাগ, শাবিপ্রবি, সিলেট।

যেকোনো সময় পড়ার জন্য পোস্টটি কপি অথবা শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখতে পারেন।

১. কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো (The Communist Manifesto)

মানব ইতিহাস মূলত শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস। পুরাতন সমাজব্যবস্থায় যেমন দাস ও মনিবের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব ছিল, তেমনই আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজেও রয়েছে শ্রমিক শ্রেণি (প্রলেতারিয়েত) এবং পুঁজিপতি শ্রেণি (বুর্জোয়া) এর মধ্যে এক সংঘর্ষ। পুঁজিবাদী সমাজে বুর্জোয়া শ্রেণি উৎপাদনের উপায়গুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং শ্রমিক শ্রেণির ওপর অর্থনৈতিক শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা তাদের শ্রম বিক্রি করে মূলত বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মজুরি পায়, কিন্তু তাদের উৎপাদিত সম্পদ পুঁজিপতিরা ভোগ করে।

কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো মূলত চারটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রতিটি অধ্যায়ে শ্রমিক শ্রেণি, পুঁজিবাদী শোষণ এবং সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এর মূল বক্তব্যগুলো হলো: ক্লিক করুন

২. প্যারাডাইস লস্ট (Paradise Lost)

“প্যারাডাইস লস্ট”-এর মূল বিষয় হল আদম ও ইভের স্বর্গ থেকে পতন। এটি বাইবেলের প্রাথমিক কাহিনীগুলির একটি পুনর্কথন। তবে এটি কেবলমাত্র একটি গল্প নয়; মিল্টন এটি ব্যবহার করেছেন মানবজাতির জন্য গভীরতর প্রশ্নগুলি উপস্থাপন করার জন্য। এই মহাকাব্যটি মোট ১২টি বইয়ে বিভক্ত এবং এর শুরুতেই শয়তানের বিদ্রোহ ও পতনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে অ্যাডাম এবং ইভের পতনের দিকে পরিচালিত করে।

প্রথমে, শয়তান স্বর্গে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং তাকে ও তার অনুসারীদের পরাজিত করে নরকে নির্বাসিত করা হয়। এরপর, শয়তান মানুষের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে, পৃথিবীতে আসে এবং আদম ও ইভকে পাপের পথে পরিচালিত করে। তাদের নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার মাধ্যমে, মানবজাতির উপর পাপের বোঝা চাপানো হয় এবং তারা স্বর্গ হারায়।

“প্যারাডাইস লস্ট” মহাকাব্যের বিভিন্ন দিক আলোচনা, কাব্যের মূল বিষয়বস্তু, চরিত্র, শৈলী এবং কাব্যের দার্শনিক ও ধর্মীয় প্রভাবসহ সাহিত্যিক অবদান পড়তে ক্লিক করুন

৩. দি ওয়েলথ অব নেশনস (The Wealth of Nations)

“ওয়েলথ অব নেশনস” অ্যাডাম স্মিথের অর্থনৈতিক চিন্তাধারার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অ্যাডাম স্মিথ ছিলেন স্কটল্যান্ডের একজন দার্শনিক, যিনি রাজনৈতিক অর্থনীতি এবং নৈতিক দর্শন নিয়ে কাজ করেছেন। এই গ্রন্থটি এমন একটি সময়ে প্রকাশিত হয় যখন বিশ্ব অর্থনীতি বাণিজ্য, শিল্প এবং সাম্রাজ্য বিস্তারের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ১৭৭৬ সাল ছিল এমন একটি সময়, যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে বাণিজ্য ও অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল, এবং শিল্পবিপ্লব ধীরে ধীরে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করছিল।

“ওয়েলথ অব নেশনস” পাঁচটি বই বা অধ্যায়ের মধ্যে বিভক্ত, যেখানে প্রত্যেকটি অধ্যায়ে নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও বাস্তবতার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমার রিভিউ বা আলোচনাটি পড়ুন: ক্লিক করুন

৪. দি সোশ্যাল কনট্রাক্ট” ( The Social Contract)

রুশোর সামাজিক চুক্তি তত্ত্বের একটি মৌলিক দিক হলো মানবপ্রকৃতির পরিবর্তন এবং তার সামাজিক সংগঠন সম্পর্কিত ধারণা। রুশো বিশ্বাস করতেন যে, প্রাকৃতিক অবস্থায় মানুষ ছিল স্বতন্ত্র, স্বাধীন এবং সমান। এই অবস্থায় মানুষ তার মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রকৃতির সাথে একটি সহজ এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখত।

তবে, সামাজিক সংগঠন এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রাকৃতিক স্বাধীনতা এবং সমতা বিলীন হয়ে যায়। সমাজের জটিলতা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের সংঘাতের কারণে মানুষের মধ্যে বৈষম্য ও ন্যায্যতার অভাব দেখা দেয়। রুশোর দি সোশ্যাল কনট্রাক্ট- এ যা উঠে এসেছে: ক্লিক করুন

৫. প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস (Pride and Prejudice)

ব্যক্তিগত অহংকার (Pride) এবং ভুল ধারণা (Prejudice) কিভাবে মানবসম্পর্কের মধ্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে? “প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস” কাহিনীটি কেবল দুটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসার গল্প নয়, বরং এটি সামাজিক শ্রেণি, ব্যক্তি অহংকার, এবং ভুল ধারণার মতো বিষয়গুলোর চমৎকার সমন্বয়। উপন্যাসে বিভিন্ন ধরনের প্রেমের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। তাছাড়া উপন্যাসের বিবাহের ধারণাগুলোও সমাজের বিভিন্ন স্তরের অগ্রগতির প্রতীক। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

৬. অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস (On the Origin of Species)

ঐতিহাসিকভাবে, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সৃষ্টিতত্ত্বের উপর বিজ্ঞানী ও ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক চলছিল। ডারউইনের তত্ত্ব “প্রকৃতির নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির বিবর্তন” জীববিজ্ঞানে নতুন এক যুগের সূচনা করে। তাঁর বইটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির পরিবর্তন এবং অভিযোজনের ধারণা তুলে ধরে, যা পূর্ববর্তী সৃষ্টিতত্ত্বের বিশ্বাসগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক ছিল। এই নতুন তত্ত্বে প্রমাণিত হয় যে প্রজাতির বৈচিত্র্য ধাপে ধাপে বিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে, যা একটি বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার সূচনা করে। “অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস” নিয়ে আমার রিভিউটি পড়তে পারেন: ক্লিক করুন https://www.banglasahitta.org/archives/4333

৭. দি টাইম মেশিন (The Time Machine)

টাইম মেশিন- শব্দটা শুনলেই আমাদের ফিউচারে গিয়ে নিজের ফিউচারটা দেখে আসতে ইচ্ছা করে। তাহলে আর দেরি কেন? দেখে আসুন নিজের ফিউচার: ক্লিক করুন

৮. A Brief History of Time” (কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)

“A Brief History of Time” বইটি বৈজ্ঞানিক ধারণার একটি চমকপ্রদ এবং সুসংগঠিত বিবরণ। এটি মহাবিশ্বের গঠন, কাজের পদ্ধতি, এবং এর উৎপত্তি ও পরিণতি সম্পর্কে একটি সহজবোধ্য ব্যাখ্যা প্রদান করে, যা সাধারণ পাঠকদের জন্যও উপলব্ধ। বইটি নাসার মহাকাশ গবেষণার কার্যক্রম থেকে শুরু করে বিগ ব্যাং থিওরি, কৃষ্ণগহ্বর এবং কণাবাদী বলবিদ্যার মতো জটিল তত্ত্বগুলির বর্ণনা অন্তর্ভুক্ত করেছে।

স্টিফেন হকিং এর গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন করা এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করা। তাঁর বইটি শুধুমাত্র বিজ্ঞানীদের জন্য নয়, বরং সাধারণ পাঠকদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যয়ন, যা পদার্থবিদ্যার জটিল ধারণাগুলিকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে। সহজ ভাষায় লেখা আমার রিভিউটি পড়তে পারেন: ক্লিক করুন

৯. ওয়ার এন্ড পিস (The War and Peace)

লিও তলস্তয়, রাশিয়ার সাহিত্যের এক অমর ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর অসাধারণ সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। মানবজীবনের গভীর অন্তর্দৃষ্টি, সামাজিক বাস্তবতা এবং দার্শনিক চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এমন সব রচনা সৃষ্টি করেছেন, যা আজও পাঠক ও সমালোচকদের মধ্যে আলোচিত। তাঁর রচিত “ওয়ার এন্ড পিস” ও “আন্না কারেনিনা” শুধু সাহিত্যিক কীর্তিই নয়, বরং মানবিকতা, প্রেম, নৈতিকতা এবং যুদ্ধের ভয়াবহতাকে কেন্দ্র করে একটি আদর্শ মানবদর্শনের প্রতিফলন। ১৯ শতকের রুশ সমাজ, রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা জটিলতা তাঁর লেখায় গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তলস্তয়ের সাহিত্যে শুধু রুশ সমাজই নয়, বরং পুরো মানবজাতির যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবি উঠে আসে। তাঁর সাহিত্যকর্ম তাই সর্বজনীন, যা যুগ যুগ ধরে পাঠকের মনে অনুরণন তৈরি করে চলেছে। “ওয়ার এন্ড পিস” উপন্যাসের কাহিনিটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১০. এ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া (A Passage to India)

১৯২৪ সালে প্রকাশিত ইএম ফরস্টারের এই উপন্যাসটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে রচিত। মূল কাহিনীটি ব্রিটিশ এবং ভারতীয়দের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যা ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের সাথে স্থানীয় জনগণের মধ্যে গভীর ফাটল ও উত্তেজনার প্রতিফলন। উপন্যাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ—মসজিদ, গুহা এবং মন্দির—এই অংশগুলির মাধ্যমে ফরস্টার ভারতীয় সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জটিলতাগুলো তুলে ধরেছেন। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১১. দ্য আলকেমিস্ট (The Alchemist)

মরুভূমিতে সান্তিয়াগোর পরিচয় হয় ফাতিমা নামে এক অসাধারণ সুন্দরী নারীর সাথে। ফাতিমার সাথে তার সম্পর্ক শুধুমাত্র ভালোবাসার গল্প নয়, বরং ভালোবাসার প্রকৃত অর্থও শেখায়। ফাতিমা তাকে বোঝায় যে প্রকৃত ভালোবাসা কখনো স্বপ্নকে বাঁধা দেয় না, বরং স্বপ্ন পূরণের পথে অনুপ্রেরণা দেয়। এই প্রেম তাকে নিজের যাত্রা এবং জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরও স্পষ্ট করে তোলে।

ফাতিমার সাথে তার সম্পর্ক তাকে এই শিক্ষা দেয় যে, ভালোবাসা কোনো প্রতিবন্ধকতা নয় বরং সহায়ক শক্তি। ফাতিমা নিজে মরুভূমির জীবনের প্রতিকূলতাকে মেনে নিয়ে বলে, “মরুভূমি আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়, কিন্তু যারা সত্যিকারের ভালোবাসে, তারা ফিরে আসে।” ধরেছেন। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১২. দ্য গড অফ স্মল থিংস” (The God of Small Things)

উপন্যাসটির নামই বলে দেয়, এটি ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে ঈশ্বরের সন্ধান করে—সেই ছোট ঘটনা, ছোট আবেগ এবং ছোট সম্পর্ক, যা মানুষের জীবনকে বদলে দেয়। সমাজের বড় বড় কাঠামোর বিপরীতে ছোট মানুষের গল্প এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। “দ্য গড অফ স্মল থিংস” সেইসব ছোট ছোট মুহূর্তের কথাই বলে, যা আমাদের জীবনকে অর্থ দেয়, যা আমাদের ভালোবাসা, কষ্ট, এবং বিদ্রোহের গল্প হয়ে থাকে। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১৩. ওয়েটিং ফর গডো – স্যামুয়েল বেকেটে

“ওয়েটিং ফর গডো” স্যামুয়েল বেকেট রচিত একটি বিখ্যাত নাটক, যা আধুনিক অস্তিত্ববাদের (existentialism) প্রতীক হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। নাটকটির মূল কাহিনি খুবই সরল—দুটি প্রধান চরিত্র, ভ্লাদিমির এবং এস্ট্রাগন, নির্জন এক স্থানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে গডো নামের এক ব্যক্তির জন্য। এই গডো কে বা কী, কেন তারা তার জন্য অপেক্ষা করছে, সেটি স্পষ্ট নয়। নাটকটি দুটি অঙ্কে বিভক্ত এবং কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা সমাধান এখানে নেই, বরং পুরো নাটকজুড়ে চলে অপেক্ষা এবং প্রত্যাশার গল্প। তবে শেষের চমকটা অন্যরকম। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১৪. দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ – অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস

বাংলাদেশের ইতিহাসে কিছু অধ্যায় আছে যা জাতির জীবনে চিরস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সংগ্রামের পাশাপাশি, এর একটি করুণ অধ্যায় হচ্ছে “দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ”। এটি শুধুমাত্র একটি শিরোনাম নয়, এটি একটি নির্যাতন, নিপীড়ন এবং অসম্মানের প্রতীক। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বর্বরতায় যেভাবে লক্ষাধিক বাঙালি নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা ইতিহাসের এক নির্মম কাহিনী। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১৫. নিঃসঙ্গতার একশ বছর (One Hundred Years of Solitude)

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ এই উপন্যাসের মাধ্যমে ম্যাজিক রিয়ালিজম ধারার চর্চা করেছেন, যা বাস্তব এবং অতিবাস্তব ঘটনার মধ্যে সীমানা মুছে দেয়। এটি এমন এক পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি যেখানে দৈনন্দিন জীবনের মধ্যে বিস্ময়কর, অলৌকিক ঘটনা ঘটতে পারে, এবং সেইসব ঘটনা মানুষের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। যেভাবে প্রভাবিত করে : ক্লিক করুন

১৬. কর্নেলকে কেউ চিঠি লেখে না

“কর্নেলকে কেউ চিঠি লেখে না” গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের লেখা একটি ক্ষুদ্র কিন্তু গভীর গল্প, যা মানবজীবনের নিঃসঙ্গতা, আশা, এবং হতাশার গল্প তুলে ধরে। গল্পের মূল চরিত্র হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল, যিনি প্রতিদিন পোস্টম্যানের অপেক্ষায় থাকেন, একটা চিঠির আশায়। সেই চিঠি তার জীবনের প্রতি মুহূর্তকে নিয়ন্ত্রিত করে, এবং তা না আসায় তার জীবনের গভীর হতাশা ক্রমাগত বেড়ে চলে।

গল্পটি পড়ে একজন পাঠক খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন যে, এই চিঠিটি কেবলমাত্র একটি কাগজের টুকরো নয়, এটি কর্নেলের জন্য জীবনের একটি প্রতীক। এটি তার সমস্ত সংগ্রামের, স্বপ্নের, এবং অপেক্ষার প্রতীক। কর্নেল একজন যুদ্ধবীর, কিন্তু যুদ্ধের পরবর্তী জীবনে তাকে রাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তার অবসর ভাতার চিঠি আসবে, এই বিশ্বাসই তাকে টিকিয়ে রাখে। কিন্তু, কর্নেলের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে এই চিঠির অনুপস্থিতি একটি নিঃসঙ্গ, শূন্য ও হতাশাময় পরিস্থিতির চিত্র এঁকে যায়। রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১৭. দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি

আর্নেস্ট হেমিংওয়ের অমর সৃষ্টি “দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি” বিশ্বসাহিত্যের এক বিস্ময়কর উপাখ্যান। এ উপন্যাসে সাহস, সংগ্রাম এবং একাকীত্বের কাহিনী অতি সংক্ষিপ্ত অথচ গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সামুদ্রিক জীবন, বয়সের ভার এবং অদম্য মনোবলের সমন্বয়—এ সবই এক বৃদ্ধ মৎস্যজীবীর দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

এই গল্পের প্রধান চরিত্র সান্তিয়াগো, যিনি একজন বৃদ্ধ মৎস্যজীবী। বেশ কিছুদিন মাছ ধরতে ব্যর্থ হওয়ার পরও, সান্তিয়াগো একটি বিশাল মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে পাড়ি জমান। সেই মাছকে ধরা এবং একে টিকিয়ে রাখার জন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সংগ্রাম এই উপন্যাসের মর্মকথা। উপন্যাসের রিভিউটি পড়ুন: ক্লিক করুন

১৮. ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট – ফিওদর মিখাইলোভিচ দস্তয়েভস্কি

“ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট” এর প্রধান চরিত্র রোদিয়ন রোমানোভিচ রাস্কোলনিকভ, এক অল্পবয়সী আইন শিক্ষার্থী, যিনি অর্থনৈতিক দুরবস্থায় জর্জরিত। সমাজে তার স্থান, জীবনের উদ্দেশ্য এবং ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে তার নিজের ধারণাগুলো এক কঠিন মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার সৃষ্টি করে। রাস্কোলনিকভের ব্যক্তিগত দার্শনিক তত্ত্ব তাকে এমন এক অপরাধে লিপ্ত করে, যা তার জীবনের মোড় পরিবর্তন করে দেয়। সে যে অপরাধ করেছিল : ক্লিক করুন

১৯. শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতার কাহিনী মূলত তিনটি প্রধান চরিত্রের মধ্যকার সম্পর্ক এবং মনস্তাত্ত্বিক সংঘাতকে ঘিরে আবর্তিত। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে অমিত রায়, লাবণ্য এবং কেতকী। অমিত একজন শিক্ষিত, আত্মবিশ্বাসী, এবং স্বাধীনচেতা যুবক, যার মানসিকতা ও ব্যক্তিত্ব তাকে সহজেই একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখায়। অন্যদিকে, লাবণ্য একজন সুশিক্ষিত ও সংযমী মেয়ে, যার মনোজগত সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের পরিচয় ঘটে শিলং-এর পাহাড়ি অঞ্চলে, যেখানে দুই ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দু’টি মানুষ একে অপরের প্রেমে পড়ে। যেভাবে প্রেমে পড়ে: ক্লিক করুন

২০. Imperialism; the Highest Stage of Capitalism

মার্কসবাদ এর বিকাশে লেনিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে তার বাস্তবধর্মী বিশ্লেষণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯১৬ সালে তার “Imperialism; the Highest Stage of Capitalism”গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে তিনি সাম্রাজ্যবাদ কে ” ধনতন্ত্রের একচেটিয়া স্তর (Monopoly stage of capitalism) এবং “পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর” (Highest stage of capitalism)বলে বর্ণনা করেন। Imperialism; the Highest Stage of Capitalism এর মূল বিষয়টি পড়ুন : ক্লিক করুন

যেকোনো সময় পড়ার জন্য পোস্টটি কপি অথবা শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখতে পারেন।

আর্টিকেল’টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে দিন অথবা পোস্ট করে রাখুন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, তাতে আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।

গৌরব রায়

বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ।

লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

6.7k

SHARES

Related articles

লােকসাহিত্য কাকে বলে?

লােকের মুখে মুখে প্রচলিত গাঁথা, কাহিনী, গান, ছড়া, প্রবাদ ইত্যাদি হলাে লােকসাহিত্য হলাে। লোকসাহিত্য মূলত বাককেন্দ্রিক। কেবল মৌখিক নয়, ঐতিহ্যবাহীও, অর্থাৎ লোকপরম্পরায় লোকসাহিত্য মুখে মুখে

Read More

সাহিত্য কী? বাংলা সাহিত্য কী? বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করো!

সাহিত্য: ‘সাহিত্য’ শব্দটি ‘সহিত’ শব্দ থেকে এসেছে। এখানে সহিত শব্দের অর্থ- হিত সহকারে বা মঙ্গলজনক অবস্থা। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য সম্পর্কে বলেন, “একের সহিত অন্যের মিলনের মাধ্যমই হলো

Read More

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এর জীবন ও সাহিত্যকর্ম

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ – ২৫ জুন ১৯২২) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কবি, যাঁর কবিতা এবং ছড়ার জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর জন্ম

Read More
Gourab Roy

Gourab Roy

I completed my Honors Degree in Bangla from Shahjalal University of Science & Technology in 2022. Now, I work across multiple genres, combining creativity with an entrepreneurial vision.

বিশ্বসেরা ২০ টি বই রিভিউ

The content is copyright protected.