আমাদের সমাজব্যবস্থা সুদীর্ঘকাল ধরে পিতৃতান্ত্রিক প্রকৃতির। এই কারণে পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যবধান বর্তমান। সমাজে নারীদের সার্বিক উন্নতি ও পুরুষদের সাথে সমানাধিকারের ভিত্তিতে যে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠে, তাকে নারীবাদ বলা হয়। অন্যভাবে বললে, নারীবাদ হল একটি সামাজিক আদর্শ ও আন্দোলন যা লিঙ্গসাম্যে আস্থাশীল এবং লিঙ্গবৈষম্যবাদী প্রাধান্য বশ্যতার পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙ্গে লিঙ্গসাম্য ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দায়বদ্ধ এবং যা নারীর দৈহিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, যৌনতা-কেন্দ্রিক, ক্ষমতাকেন্দ্রিক আত্ম প্রতিষ্ঠার এক সচতেন, সম্মিলিত প্রয়াস।
নারীবাদ বিংশ শতাব্দীতে উদ্ভূত একটি আন্দোলন যা নারীর ক্ষমতায়ন, ভোটদানের অধিকার এবং নারী পুরুষ সমান এই দাবী থেকে শুরু হয়। নারীবাদের প্রথম বিকাশ লক্ষ্য করা যায় মেরি উলস্টোনক্র্যাফট, সি. রাইট সিলস, ফ্রেডরিক এঞ্জেলস, কার্ল মার্ক্স এবং সিমন দ্য বোভোয়ার রচনায়।
১৮৪৮ এর সেনেকা ফলস কনভেনশন ও পরবর্তী নারী আন্দোলনে এবং পরে সিলেট, বেটি ফ্রেডান, জার্মেইন গ্রিয়ারদের অগ্নিগর্ভ লেখায়। এই নারীবাদের মূল উদ্দেশ্য হল নারীর কেন্দ্রিয় অবস্থান এবং প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তত্ত্ব নির্মাণ করা। সমাজে কোন কোন জায়গায় নারীরা বদ্ধ হয়ে আছে। বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সেগুলো খুঁজে বের করা এবং তা নিয়ে কাজ করাই নারীবাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
আরো পড়ুন : (বিষয়ের উপর ক্লিক করুন)
নারীবাদের স্বরূপ ও পরিসর সংক্ষেপে আলোচনা করুন
নারীবাদ কী বা নারীবাদ কাকে বলে? নারীবাদের সংজ্ঞার্থ প্রদান করুন
নারীবাদের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করুন
নারীবাদের উদ্ভবের ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ সংক্ষেপে আলোচনা করুন
নারীবাদী তত্ত্ব কী? নারীবাদী তত্ত্ব কত প্রকার ও কী কী – আলোচনা করুন
নারীবাদের বিভিন্ন তরঙ্গ বা নারীবাদের ধারাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন