সিসেরো: সিসেরো রোমান ক্লাসিক শিল্পীদের মধ্য অন্যতম। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, তাত্ত্বিক, সাহিত্যক এবং গণ বক্তা। গ্রীক সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনেও তিনি রোমান সাহিত্যে বিশষ অবদান রাখেন। তাঁর বিখ্যাত “Aratus” এবং “De Consulatu Suo’ তে তিনি ক্লাসিকরীতির ব্যবহার করেন ।
ভার্জিল: ভার্জিল বিশ্ব খাতি লাভ করেছন তার বিখ্যাত মানব্য ইনিড’ (Aeneid) এর জন্য। গ্রন্থটিতে তিনি ক্লাসিকরীতি মাধ্যমে পৌরানিক দেববংশের ইনিয়াসের কাহিনীকে উপস্থাপন করেন। মূলত, অত্রকালীন রোমান সম্রাট অগাস্টাসের গুগ-কীর্তন এবং অগাস্টাসকে দেববংশ ইনিয়াসের বংশধর হিসেবে দাবি করাই গ্রন্থটির মূল লক্ষ।
হোরেস: হোরেস বিশ্ব খ্যাতি লাভ করেছেন তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আর্স পোয়েটিকা’ এর জন্য। তিনি মূলত ছিলেন একজন ক্লাসিকরীতির লেখক। হোরেস সাধারণ বিভিন্ন ধারায় ক্লাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কবিদের অনুসরণ করতেন। যেমন : তাঁর রচিত ‘Epodes’ এ আর্কিলোবাসকে অনুসরণ করতে দেখা যায়। ক্লাসিকরীতিকেই তিনি সাহিত্য রচনার উৎকৃষ্ট মাধ্যম বলে বিবেচনা করেন এবং ক্লাসিকরীতির কিছু নির্দিষ্ট মানদন্ডও দাঁড়
করান।
জিন রাসিন: নিউ-ক্লাসিক যুগে ফরাসি ট্রাজেডি দুটি মৌলিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে- ১. আবেগ এবং ২ রাজনীতি। এই দুইটি বিষয়ই ফরাসি নাট্যকার জিন রেসিনের (১৬৩৯- ১৬৯৯) সহিত্য শিল্পগুলোতে উপস্থিত ছিল। তাঁর বিখ্যাত ‘নাটক ‘অ্যানড্ৰোমাক – যাতে তিনি ট্রয় নগরী পড়তনের পরবর্তী ঘটনা নিয়ে নাটক সজিয়েছেন। তাঁর আরেকটি জনপ্রিয় নাটক অ্যালেকজান্ডার -এ তিনি ম্যাসেডানিয়ান বিজয়ীর প্রকৃতিতে তৎকালীন সম্রাট ষোড়শ লুইসের বীরত্বে প্রকাশ করেছেন।
ইউজিন ওনিল: নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত কথা-সাহিত্যিক ওনিল তাঁর ‘Mourning Becomes Electra’ নামক টিওলজিকল নাটকটি অ্যাসকিলাসের রচিত ‘ওরেস্টিয়া’ এর টিওলজির উপর ভিত্তি করে রচনা করেছিলেন। তিনি প্রাচীন গ্রিক কাহিনি, রচনারীতি ও চরিত্রকে নব্য-ইংল্যান্ডের পরিবেশে বসিয়ে নাটকটি রচনা করেছেন।
আরো পড়ুন: (বিষয়ের উপর ক্লিক করুন)
ক্লাসিক সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন
ক্লাসিসিজমের উদ্ভবের ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ
ক্লাসিসিজমের প্রতিনিধিত্বশীল লেখকদের পরিচয়