রোমান্টিসিজম হল পশ্চিমা বিশ্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ধারা বা আন্দোলনের নাম যা সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, সমালোচনা এবং ইতিহাস-লিখনের ক্ষেত্রে নতুন ধারার সৃষ্টি করে। সাধারণ ক্লাসিসিজম এবং নব্য ক্লাসিসিজমের নিয়মানুবর্তিতা, সৌষ্ঠব, ভারসাম্য, আদর্শিকতা, স্থিরতা এবং যৌক্তিকতাকে বর্জনের মাধ্যমে রোমান্টিকতার উদ্ভব ঘটেছিল।
১. স্বপ্ন এবং দৃষ্টি(Dreams and vision): রোমান্টিক কবিরা স্বপ্নলোকে দৃষ্টিপাত করে তার অতল গহ্বরে ডুব দিয়ে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কীটসের ‘The Eve of st Agnes’ কবিতা, জীবনানন্দ দাশের বনলতাসেন কাব্যগ্রন্থ।
২.সর্বশ্বরবাদ(pantheism): রোমান্টিকরা সুন্দরের পূজা করে। এই সৌন্দর্য প্রকৃতি ও মানুষে নানাভাবে প্রকাশিত হয়। সেজন্য রোমান্টিক কবিভাবনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সর্বেশ্বরবাদ বিশ্বাসী।
৩.ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা(The self): রোমান্টিক সাহিত্যিক্রা আত্মকেন্দ্রিক। তাদের কান্যভাবনা নিজস্ব কবি কল্পনার রঙে রঙিন। যেমন: বায়রনের ‘She walks in beauty’ কবিতা, রবীন্দ্রনাথ চিত্রা কাব্যের অধিকাংশ কবিতা।
৪. আবেগ এবং অনুভূতি(Emotion and takings): রোমান্টিক কবিরা আবেগ, অনুভূতিকে সবার্ধিক গুরুত্ব দেয়। আবেগেকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে তারাঁ কবিতার ছন্দ, অলঙ্কারের শৃঙ্খলতাকে ভাঙতেও কুন্ঠাবোধ করে না। যেমন: শেলীর ‘To a Skylark’ কবিতা, ফররুখ আহমদের ‘ডাহুক’ কবিতা।
আরো পড়ুন: (বিষয়ের উপর ক্লিক করুন)
রোমান্টিসিজম কী বা রোমান্টিসিজম কাকে বলে?
রোমান্টিসিজমের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করুন
রোমান্টিকদের রচনার বিষয়বস্তু আলোচনা করুন
রোমান্টিসিজমের উদ্ভবের ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ
রোমান্টিসিজমের প্রতিনিধিত্বশীল লেখকদের পরিচয়
বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিসিজমের প্রভাব
সঙ্গীতের উপর রোমান্টিসিজমের প্রভাব