অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য রচনার বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্য বিচার করা হলে নিম্নলিখিত ৩০টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা যায়:
ঐতিহাসিকতা: তার রচনায় ইতিহাসের গভীর প্রভাব লক্ষ করা যায়, যেখানে তিনি প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন।
গবেষণামূলক দৃষ্টিভঙ্গি: তার রচনায় গবেষণামূলক দৃষ্টিভঙ্গির স্পষ্ট প্রতিফলন পাওয়া যায়, বিশেষত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে।
শিল্পমনা ভাবধারা: অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় শিল্পের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং এর প্রতি দায়িত্ববোধ লক্ষ্যণীয়।
ভাষার সাবলীলতা: তার রচনায় ভাষার সাবলীলতা ও স্বচ্ছতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা তার লেখাগুলিকে সহজবোধ্য করে তোলে।
সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি: তিনি সাহিত্য সমালোচনায় বিশেষভাবে পারদর্শী ছিলেন, যা তার রচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
সংস্কৃতির মূল্যায়ন: বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে তার রচনায় গভীর মূল্যায়ন পাওয়া যায়।
ধারাবাহিকতা: তার লেখায় ধারাবাহিকতা এবং বিষয়বস্তুর গভীরতা লক্ষ করা যায়।
প্রামাণিকতা: অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় প্রামাণিকতা ও তথ্যগত নির্ভুলতা ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
সাহিত্যিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা: তিনি বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যকে সম্মান করে তার রচনায় সেই ঐতিহ্যের চর্চা করেছেন।
সামাজিক সমস্যা: সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে তার লেখায় আলোচনা করা হয়েছে।
লোককাহিনী ও পুরাণের ব্যবহার: তার রচনায় লোককাহিনী ও পুরাণের উপাদানগুলির ব্যবহার পাওয়া যায়।
আদর্শবোধ: সমাজের প্রতি তার আদর্শবোধ ও দায়বদ্ধতা তার লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।
মৌলিক চিন্তা: তিনি সাহিত্যিক চিন্তায় মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করেছেন।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন: তার লেখায় তার নিজস্ব জীবন ও অভিজ্ঞতার প্রভাব লক্ষণীয়।
কাব্যিকতা: তার লেখার ভাষায় কাব্যিকতা ও সৌন্দর্য স্পষ্ট।
সাংস্কৃতিক বিবর্তন: তিনি বাংলা সংস্কৃতির বিবর্তন নিয়ে লেখালেখি করেছেন।
ভাষার সমৃদ্ধি: তার লেখায় বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি এবং তার প্রতি গভীর প্রেম প্রকাশ পায়।
চরিত্রের গভীরতা: তার রচনায় চরিত্রের গভীরতা ও মানবিক জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে।
নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি: নৃতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞানের প্রভাব তার লেখায় দেখা যায়।
দার্শনিকতা: তার লেখায় দার্শনিক চিন্তার প্রতিফলন লক্ষণীয়।
আন্তর্জাতিক প্রভাব: কিছু রচনায় আন্তর্জাতিক সাহিত্যের প্রভাব পাওয়া যায়।
শিক্ষামূলক: তার রচনা শিক্ষামূলক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
সাহিত্যিক বিচারধারা: বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার বিচারধারা নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।
ঐতিহাসিক চরিত্রায়ন: ঐতিহাসিক চরিত্রদের চিত্রায়ন তার লেখায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
সাহিত্যের সার্বজনীনতা: তার লেখায় সাহিত্যের সার্বজনীনতার প্রতিফলন পাওয়া যায়।
সাধারণ মানুষের জীবন: সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা তার রচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন: তার রচনায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাহিত্যের মেলবন্ধন দেখা যায়।
প্রেরণামূলক রচনা: তার লেখাগুলি প্রেরণামূলক, যা পাঠককে উদ্দীপ্ত করে।
ব্যক্তিত্বের প্রভাব: তার লেখায় তার নিজস্ব ব্যক্তিত্বের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
বিশ্লেষণী ক্ষমতা: তার রচনায় বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং বিভিন্ন বিষয়ের গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়।
এই বৈশিষ্ট্যগুলো অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক দক্ষতা ও তার রচনার বৈচিত্র্যধর্মীতা তুলে ধরে।