অদ্বৈত মল্লবর্মণের সাহিত্য রচনার বৈশিষ্ট্য বা লেখার বৈচিত্র্যধর্মীতা বিচার করা হলে নিম্নলিখিত ৩০টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা যায়:
লোকজ জীবন: অদ্বৈত মল্লবর্মণের রচনায় গ্রামবাংলার লোকজ জীবনের প্রতিফলন পাওয়া যায়, যা তার সাহিত্যকে বিশেষ মাত্রা প্রদান করে।
চাকমা সংস্কৃতি: তার রচনায় চাকমা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জীবনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়, যা তার রচনাকে ভিন্নমাত্রা প্রদান করে।
মানবিকতা: তার লেখায় মানবিকতার প্রবল সুর প্রতিফলিত হয়েছে, যা পাঠককে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।
সম্প্রদায়িক সমস্যা: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক, সাম্প্রদায়িক সমস্যা নিয়ে তিনি তার লেখায় গভীরভাবে আলোচনা করেছেন।
প্রকৃতির বর্ণনা: তার রচনায় প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর বর্ণনা পাওয়া যায়, যা তার লেখায় একটি বিশেষ সৌন্দর্য যোগ করে।
গ্রামীণ জীবনের রুক্ষতা: গ্রামীণ জীবনের কঠোর বাস্তবতা ও দারিদ্র্যের প্রতিফলন তার লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
মৌলিকত্ব: তার লেখায় মৌলিকতার ছাপ স্পষ্ট, যা তাকে অনন্য সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সামাজিক অসামঞ্জস্যতা: সমাজের অসামঞ্জস্যতা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার লেখায় একটি প্রবল প্রতিবাদ পাওয়া যায়।
গভীর জীবনবোধ: তার রচনায় গভীর জীবনবোধ এবং জীবনের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে।
সহজ ভাষা ব্যবহার: অদ্বৈত মল্লবর্মণ তার লেখায় সহজ এবং সরল ভাষা ব্যবহার করেছেন, যা তার রচনাকে সহজবোধ্য করে তুলেছে।
দারিদ্র্যের চিত্রায়ন: তার লেখায় দারিদ্র্য ও এর প্রভাবের চিত্রায়ন করা হয়েছে, যা সমাজের প্রতি এক গভীর উপলব্ধি প্রকাশ করে।
নাটকীয়তা: তার রচনায় নাটকীয়তা ও উত্তেজনার উপাদানগুলি দক্ষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্তর্মুখী চরিত্রায়ন: তিনি চরিত্রগুলিকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, যা তাদের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা তুলে ধরে।
সংঘর্ষ ও সংকট: তার লেখায় ব্যক্তিগত ও সামাজিক সংঘর্ষ ও সংকটের চিত্রায়ন পাওয়া যায়।
বাস্তবতা: অদ্বৈত মল্লবর্মণের রচনায় বাস্তবতার মর্মস্পর্শী প্রতিফলন পাওয়া যায়, যা পাঠককে চিন্তার খোরাক যোগায়।
সমাজের প্রতিচ্ছবি: সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিচ্ছবি তার রচনায় ফুটে উঠেছে।
নারীর অবস্থা: তার লেখায় নারীর সামাজিক অবস্থা, তাদের সংগ্রাম এবং তাদের প্রতিকূলতার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হয়েছে।
সমাজের নিপীড়িত শ্রেণী: সমাজের নিপীড়িত শ্রেণীর দুঃখ-দুর্দশার প্রতিফলন তার রচনায় স্পষ্ট।
নির্দেশনামূলক লেখা: তার লেখায় সমাজের প্রতি এক ধরনের নির্দেশনা বা বার্তা পাওয়া যায়।
ভাষার জাদু: তার লেখায় ভাষার কাব্যময়তা ও সৌন্দর্য লক্ষ্যণীয়।
ঐতিহাসিক পটভূমি: কিছু রচনায় ঐতিহাসিক পটভূমির ব্যবহার পাওয়া যায়।
সাহসী বক্তব্য: অদ্বৈত মল্লবর্মণ তার লেখায় সাহসী বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন, যা তাকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।
দার্শনিক চিন্তা: তার রচনায় দার্শনিক চিন্তার প্রতিফলন রয়েছে, যা জীবন ও সমাজ সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়।
সংস্কৃতির বৈচিত্র্য: তার লেখায় বিভিন্ন সংস্কৃতির সমন্বয় পাওয়া যায়।
লোককথার ব্যবহার: তিনি তার রচনায় লোককথা এবং প্রচলিত বিশ্বাসকে ব্যবহার করেছেন।
সাংবাদিকতার প্রভাব: সাংবাদিকতার মাধ্যমে অর্জিত তার অভিজ্ঞতা লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।
আবেগের গভীরতা: তার লেখায় আবেগের গভীরতা পাঠককে আবিষ্ট করে রাখে।
বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব: কিছু লেখায় বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্বের অনুভূতি প্রকাশ পায়।
আদর্শবোধ: সমাজের প্রতি তার আদর্শবোধ ও দায়িত্ববোধ তার লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।
মানবিক সম্পর্কের জটিলতা: তার লেখায় মানবিক সম্পর্কের জটিলতা এবং এর বিভিন্ন দিক বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলো অদ্বৈত মল্লবর্মণের সাহিত্যিক দক্ষতা এবং তার রচনার গভীরতা ও বৈচিত্র্যের প্রকাশক।