বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গল্পকার ও ঔপন্যাসিক শহীদুল জহির। সত্তরের দশকের শেষ দিকে, প্রথাগত লেখনী জগতের বাইরে অন্য এক স্বতন্ত্র জগতে এ লেখক আপন লেখনীর ম্যাজিক দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন। তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে জীবনের বাস্তবতা, দেশের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা ও সেই সাথে মানবমনের অন্তর্দাহের কথা। ”জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা” বাঙালি লেখক শহীদুল জহির রচিত বাংলা উপন্যাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত এটি একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস। উপন্যাসে বিভিন্ন চরিত্রের ভেতর দিয়ে জনসাধারণের মনের অব্যক্ত সত্যগুলো তিনি বের করে এনেছেন।
”জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা” উপন্যাসের সারসংক্ষেপ: তিনি গ্রন্থটিতে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন-
- মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক হানাদারদের তাণ্ডবললীলার কাহিনী,
- সাধারণ বাঙালিদের জাতীয়তাবাদী চেতনার কাহিনী,
- ক্ষমতার লোভে কিছু পথভ্রষ্ট বাঙালির বিকৃত মানসিকতার কথা,
- ফুটিয়ে তুলেছেন ধর্মব্যবসায়ীদের ধর্ম ব্যবসার কথা।
উপন্যাসের চরিত্র
- আবদুল মজিদ,
- বদু মওলানা,
- মোমেনা,
- আজিজ পাঠান।
অন্যান্য চরিত্রগুলো প্রকৃতপক্ষে পুরো কাহিনীটিকে সুনিপুণভাবে সাজানোর জন্য পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল।
উপন্যাসের সমালোচনা
হাসান আজিজুল হক লেখেন, ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা একবারে প্রদীপ্ত যৌবনের রচনা। না কোন বোকামি, না কোন বালখিল্যতা, প্রখর পরিণত লেখকের লেখা উপন্যাস”।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান শহীদুল জহিরকে জিজ্ঞেসা করেছিলেন, ‘উপন্যাসের এমন একটা বিরস নাম দিলেন কেন?’ লেখক শহীদুল জহির হেসে বলেছিলেন,‘যখন উপন্যাসটি লিখছি তখন দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা ভয়ংকরভাবে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে, আমি ভীষন উদ্ধিগ্ন, আতঙ্কিত ছিলাম, আমি মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়ংকর সময়টির দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলাম। নাম নিয়ে কোন কাব্য আর রস করবার মানসিকতা ছিল না।’
শহীদুল জহিরের অপরাপর লেখার সাথে এই উপন্যাসটির তুলনা করতে গিয়ে হাসান আজিজুল হক বলেন, “বলতে ইচ্ছে হয় এই লেখাটি তিনি আর অতিক্রম করতে পারেননি। (ছোটগল্পের কথা এখানে হিসাবেই ধরছি না)। এমনই সুপরিণত, এমনই আবেগ আর বুদ্ধির টান টান ভারসাম্যে তা বাঁধা, লেখক হিসাবে জন্মেই টলমলে পায়ে হাঁটা নয়, একেবারে সেই মুহুর্ত থেকেই ঋজু মেরুদণ্ড, খাড়া ঘাড়, খরদৃষ্টি। এভাবেই আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল শহীদুলের। না শহীদুলের নয়, তার রচনার। লেখক নামে যে মানুষটি থাকে, জীবন যাপন করে, কাজ যায়, কাজে আসে, সেই মানুষ শহীদুল কোনদিন আত্মপ্রকাশ করেননি। সঙ্গোপনে জীবন যাপন করেছেন তিনি, চলেও গেছেন প্রায় সবার অজান্তেই। শুধু তাঁর লেখাগুলো যেভাবে নিঃসংকোচে আত্মপ্রকাশ করেছিল, বিনা আড়ম্বরে একটা শক্ত মজবুত আসন দাবি করেছিল, সেই দাবি এখন অনপেক্ষ প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।’ তাঁর তিনটি গল্পগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, গ্রন্থিত, অগ্রন্থিত ও অপ্রকাশিত সমস্ত রচনা, ডায়েরি, সাক্ষাতকার নিয়ে পাঠক সমাবেশ প্রকাশ করেছে ‘শহীদুল জহির সমগ্র’’।
শহীদুল জহিরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লেখেন,‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা উপন্যাসটিকে অনেকে প্রবন্ধের বই ভেবে কিনেছেন।’
উপন্যাসের সারমর্ম বা সারাংশ, পটভূমি ও প্রেক্ষাপট
‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’ উপন্যাসে আমরা জানি ঢাকা শহরের এক মহল্লার কথা। যে মহল্লার মানুষজন যুদ্ধের সময়কালে নির্মমতার, খুনের, ধর্ষণের শিকার হন। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লেখা এ উপন্যাসে শহীদুল জহির মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের পুনর্বাসন নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন বলেই মনে হয় এবং এ নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের সমালোচনাও করেছেন প্রবলভাবে। তিনি বারবার একাত্তরের নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন যেন আব্দুল মজিদের মায়ের মতো আমরা ভুলে না যাই কোনো কিছু।
উপন্যাসের নায়ক আবদুল মজিদ ছিল স্বাধিকার চেতনায় বিশ্বাসী এক বাঙালি তরুণ। ১৯৮৫ সালে যখন রাজাকার বদু মওলানার ছেলে আবুল খয়ের হরতাল পালনের জন্য জনসাধারণকে মাইকিং করে ধন্যবাদ জানায় তখন সে ফিরে যায় ১৫ বছর আগের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে। তার চোখের সামনে ভেসে উঠে আবুল খয়েরের পিতা বদু মওলানার পাকিস্তানী মিলিটারিদের সাথে হাত মিলিয়ে তাণ্ডবলীলা চালানোর নগ্ন দৃশ্য। বদু মওলানা ছিল তৎকালীন সময়ের এক ঘৃণ্য রাজাকার। পুরুষ হত্যা অর নারী ধর্ষণে সে ছিল পাকিস্তানি মিলিটারিদের সহযোগী। ধর্মের দোহাই দিয়ে সে এসব অপকর্ম চালাতো। অথচ, ৭১ সালে লক্ষ্মীবাজারে প্রথম যে লোকটি নিহত হয়েছিল সে ছিল মুসলমান। গ্রামে যত হত্যা, ধর্ষণ সহ নানা রকম অপকর্ম সংঘটিত হয়েছিল সবই হয়েছিল তাঁর আঁতাতে। গ্রামে মানুষের লাশ আর নারীদের ধর্ষণ দেখে তাঁর হৃদয় এতটুকু কেঁপে উঠেনি। ধর্মের লেবাসের আড়ালে সে ছিল এক হিংস্র-ঘৃণ্য পশু।
ল্যাটিন লেখক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘নিঃসঙ্গতার একশো বছর’ দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত ছিলেন শহীদুল জহির। তার লেখনীতে তাই যাদুবাস্তবতার কিছু মিশেল পাওয়া যায়। একইসাথে কাহিনী বর্ণনায় সর্বদাই তিনি গল্পের ভেতর গল্প বলে গেছেন। এতে করে তিনি বারবার যেমন ফিরে এসেছেন একাত্তরে, আবার একইসাথে বিচরণ করেছেন পঁচাশিতে। উপন্যাসে প্রতিনিয়ত মজিদসহ মহল্লার মানুষের ক্রমাগত আত্মসমর্পণ, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং একত্তার পরবর্তী সময়ে আবারও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের পুনর্বাসন ভবিষ্যতের বার্তা দেবার পাশাপাশি তৎকালীন তথা বর্তমান প্রজন্মকেও রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে নিবিড়ভাবে পরিচিত করে।
‘উনিশ শ পঁচাশি সনে লক্ষীবাজারের শ্যামপ্রসাদ চৌধুরী লেনের যুবক আবদুল মজিদের পায়ের স্যান্ডেল পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি বিধানে ব্যর্থ হয়ে ফট করে ছিঁড়ে যায়।’ আবদুল মজিদের স্যান্ডেল ছিঁড়ে যাওয়ার সংবাদ দিয়ে শুরু হয় উপন্যাসের। এটি কোন গুরুত্বপুর্ণ সংবাদ ছিল না, কিন্তু আবদুল মজিদের জুতো ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে আমরা জানতে পারি আবুল খায়ের নামের এক মাওলানা হরতাল পালন করায় মহল্লাবাসীকে ধন্যবাদ দেয় এবং ভাই বলে সম্বোধন করে। এতে আবদুল মজিদ হত বিহব্বল হযে পড়ে – সে আর জুতা সারাই করতে যায় না, অস্থিরতায় ঘরে ফিরে আসে।
আমরা জানতে পারি এই মাওলানা আবুল খায়েরের পরিচয়। আবুল খায়েরের সাথে কাকদের পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার কথা। কাকদের সাথে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার কথা জানাতে গিয়ে লেখক আমাদের জানান ‘আবদুল মজিদ যখন তার দৃষ্টি আবুল খায়েরের দীর্ঘ এবং তরুণ শ্মশ্রু আর নীল রঙের জোব্বার উপর রাখে তার মনে হয় আকাশে যত কাক ওড়ে সেগুলো আবুল খায়েরের জোব্বার ভেতর থেকেই যেন বের হয়ে আসে।’ কারণ একাত্তর সালে মহল্লায় কাক ওড়ানো শুরু করে মাওলানা বদু, আবুল খায়েরের পিতা।
কখনো একে মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবেও মনে হয়। উপন্যাসের শুরুতেই আমরা বদু মাওলানার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। কথিত আছে, বদু মাওলানা তার বাড়ির ছাদে কাককে মানুষের মাংস খাওয়াতো। কখনো কখনো কাকগুলো ছুঁড়ে দেয়া মাংস খেতে ব্যর্থ হলে তা গিয়ে পড়তো মহল্লার সবচাইতে প্রাচীন মুসলিম পরিবারের খাজা আহমেদ আলীর ছাদে কিংবা কখনো জমির ব্যাপারীর বাড়ির কুয়োতলায় ভাতের চাল ধোয়ার সময় হাঁড়ির ভেতর, আবার কখনো হয়তো চলমান রাস্তার ধারে ফুটপাতের ওপর। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এর কোনোটি ছিল নারীদেহের মসৃণ মাংস, কোনোটি এক তৃতীয় লিঙ্গের পায়ের আঙ্গুল, কোনোটি পুরুষের কাটা পুরুষাঙ্গ! অন্যদিকে বদু মাওলানার ছেলে আবুল বাশারের খৎনার ঘটনা কিংবা মোমেনার পালিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা। এসব ঘটনা উপন্যাসের পরতে পরতে মানুষের মনের মধ্যে একধরনের অবজ্ঞা কিংবা এসব শব্দ পরিহার করে নিজেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করার মতো বোধ তৈরি করছে, যা মানুষের মননের সংকটকে সামনে এনে হাজির করে। উপন্যাস পড়ার সময়ে হয়তো অনেকেই এসব থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টাই করে থাকে। এসব প্রশ্ন মানুষের সামনে হাজির করে শহীদুল জহির তাদের আত্মার আবরণকে খুলে ফেলার চেষ্টাই বোধহয় করেছেন। তাই কোনো কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে একে মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবেও আখ্যা দেয়া যেতে পারে।
একাত্তরের মার্চে বদু মাওলানার সাথে পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন ইমরানের সাক্ষাতের সাথে সাথেই যখন বদু মাওলানার সাথে বেয়াদবি করা আলাউদ্দিনের লাশ তাদের বাড়ির সামনে চিৎ হয়ে পড়ে, তখনই তার চরিত্র আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়। বদু মওলানার সহযোগিতায় পাকিস্তানী মিলিটারিদের অত্যাচার বিভিন্ন চমৎকার কিন্তু রোমহর্ষক রূপকের মাধ্যমে আমাদের সামনে হাজির হয়। যেমন মহল্লায় মিলিটারির আগমন প্রসঙ্গে মহল্লারবাসীর অবস্থা পাঠকের সামনে লেখক বর্ণনা করছেন,
“তারা আজীবন যে দৃশ্য দেখে কিছু বোঝে নাই- যেখানে একটি মোরগ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় মুরগিকে- মহল্লায় মিলিটারি আসার পর তাদের মনে হয়েছিল যে, প্রাঙ্গনের মুরগির মতো তার মা এবং কিশোরী কন্যাটি, পরিচিত ভালোবাসার স্ত্রী, তাদের চোখের সামনে প্রাণভয়ে এবং অনভিপ্রেত সহবাস এড়ানোর জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে। ব্যাপারটি এমন মর্মান্তিকভাবে তাদের জানা থাকে যে, তাদের বিষণ্ণতা ছাড়া আর কোনো বোধ হয় না। তাদের বিষণ্ণ লাগে কারণ, তাদের মনে হয় যে একমাত্র মুরগির ভয় থাকে বলাৎকারের শিকার হওয়ার আর ছিল গুহাচারী আদিম মানবীর।”
এরকম অসংখ্য রূপকের মাধ্যমে তৎকালীন এলাকাবাসীর অবস্থা আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয় উপন্যাসের মাধ্যমে। মজিদ তাঁর বোন মোমেনাকে হাজার চেষ্টা করেও পাকপশুদের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। একসময় তাঁকে নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত বেশীরভাগ গল্প-উপন্যাসে কেবল মুক্তিযুদ্ধকালীন করুণ সময়ের বর্ণনা করা হয়েছে। লেখক এ বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী সময়ের বাস্তব চিত্র সুনিপুণভাবে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বস্তুত, এভাবেই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নারকীয় তাণ্ডবলীলা সংঘটিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সুযোগে কিছু অতি উৎসাহী লোকের ইন্ধনে স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তিরা মানবতার আলখাল্লা পরিধান করে স্বাধীন বাংলায় আবার ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও তারা সময়ের বিবর্তনে আসতে পেরেছে তবুও তারা এখনও নিঃস্বার্থ বাঙালিদের কাছে চরম ঘৃণার পাত্র।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে বদু মওলানা পাকিস্তানে পলায়ন করেছিল। পরবর্তীতে, সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করে সেও দেশে পুনর্বাসিত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আজিজ পাঠানের সহায়তায় গ্রামে আশ্রয় পেয়েছিল। অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর বাড়িতে বদু রাজাকার কী তা-বলীলাই না চালিয়েছিল! এসব লোমহর্ষক স্মৃতির কথা জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দুই মেরুর দুই লোক আবার একত্রে মিশে গিয়েছিল। এসব ঘটনাগুলো সচেতন মজিদের মর্মপীড়ার কারণ। মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে এসব নির্মম কাহিনীকা- ক্ষুদ্রমতির কিছু লোক ভুলতে বসলেও মজিদসহ আরও গুটিকয়েক বাঙালি নর-নারী ভুলতে পারেনি। মজিদ, যার বসবাসের কথা বাংলার মাটিতে হওয়ার কথা থাকলেও অবশেষে তাঁকেই অন্যত্র পাড়ি জমাতে হয়েছিল। শকুনেরা আবারো বাঙালিয়ানা পোশাকে আবৃত হয়ে সোনার বাংলায় শকুনিয় আস্তানা গড়ে তুলে।