ধ্বনিবিজ্ঞান: ধ্বনিবিজ্ঞান হচ্ছে বাক্ ধ্বনির বিশ্লেষণ। বাগ্ধ্বনি সম্পর্কে পঠন-পাঠনকে বলা হয় ‘ ধ্বনিবিজ্ঞান ‘। ধ্বনিবিজ্ঞানে বাগধ্বনিকে একাধিক উপায়ে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়।
The science, study, analysis and classification of sounds, including the study of their production, transmission and perception.
পুরনো আমলে ধ্বনিবিজ্ঞানের যে পরিচয় দেয়া হতো তা হলো, ধ্বনিবিজ্ঞান (Phonetics) হচ্ছে ধ্বনির বিজ্ঞান তথা ধ্বনির পঠন-পাঠন, বিশ্লেষণ ও শ্রেণীকরণ — যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে ধ্বনির উৎপাদন, সঞ্চালন এবং অনুধাবন।
ধ্বনিবিজ্ঞানের আধুনিক পরিচয় হলো, “মানুষ যে সকল ধ্বনি উৎপন্ন করে, বিশেষ করে মানববচনে ব্যবহৃত হয় যে- সকল ধ্বনি, সেগুলোর বৈশিষ্ট্যাবলি নিয়ে যে বিজ্ঞানে গবেষণা হয় এবং যে বিজ্ঞান সে সকল ধ্বনি বর্ণনা, শ্রেণীকরণ এবং প্রতিবর্ণীকরণের পদ্ধতি প্রদান করে তা- ই ধ্বনিবিজ্ঞান।”
The science which studies the characteristics of human sound making, specially those sounds used in speech and provides methods for their description, classification and transcription.
এই সব বাগধ্বনি, যা অর্থ ব্যক্ত করার জন্য সকল ভাষাতেই মানুষ ব্যবহার করে, সেই সম্পর্কে পঠন-পাঠনকে বলা হয় ধ্বনিবিজ্ঞান। সংক্ষেপে বলা যায়, ধ্বনিবিজ্ঞান হচ্ছে বাগধ্বনির বিশ্লেষণ।
সহায়ক গ্রন্থ
১. জীনাত ইমতিয়াজ আলী: ‘ধ্বনিবিজ্ঞানের ভূমিকা’
২. মহাম্মদ দানীউল হক: ‘ভাষাবিজ্ঞানের কথা’