Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta
Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta

বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের উদ্ভব ও বিকাশের ধারা আলোচনা করো?

ভূমিকা : প্রবন্ধ বলতে কোন বিষয়বস্তু অবলম্বনে রচিত লেখকের বুদ্ধি বৃত্তিমূলক গদ্যরীতির সাহিত্যসৃষ্টি বুঝায়। বুৎপত্তিগত অর্থে প্রকৃষ্ট বন্ধনযুক্ত রচনাকেই প্রবন্ধ বলা যেতে পারে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, সমাজ-রাজনীতি, সাহিত্য-শিল্পকলা প্রভৃতি ব্যাপার নিয়ে যে সমস্ত তত্ত্বকেন্দ্রিক ও বস্তুগত চিন্তামূলক গদ্যনিবন্ধ  রচিত হয় তাকে বলা যেতে পারে প্রবন্ধ সাহিত্য। এ ধরনের সাহিত্য সৃষ্টিতে যুক্তির সাহায্যে কোন বক্তব্য প্রকাশ করে তাতে লেখককে সাহিত্য রসের সঞ্চার করতে হয়। সেজন্য তাতে লেখকের ব্যক্তিগত খেয়ালখুশি প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেক প্রবন্ধে কোন কিছু প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। যথার্থ তথ্য-প্রমাণের সমাবেশে, ভাবে, ভাষায়, চিন্তার প্রয়োগে সেই প্রতিপাদ্য বিষয়কে রুপদান করাই প্রবন্ধের লক্ষ্য। নিম্নে বাংলা সাহিত্যের প্রবন্ধের উদ্ভব ও বিকাশের ধারা তুলে ধরা হলো:

মূল পর্ব : প্রবন্ধের বিষয়বস্তু খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। এর সীমানায় ‘গুরুগম্ভীর দার্শনিক তত্ত্বালোচনা, দুর্দান্ত ঐতিহাসিক গবেষণা, রাজনৈতিক মসি যুদ্ধ আর সমাজনৈতিক ঘোঁট, সাহিত্যিক বিতর্ক এবং সমালোচনা, আর গদ্যচ্ছন্দে লেখকের আত্মপ্রকাশ’ এসবই অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।  বস্তুতপক্ষে জগৎ ও জীবনের বিচিত্র বিষয় প্রবন্ধের উপজীব্য।

প্রবন্ধ সম্পর্কে শ্রীশচন্দ্র দাস বলেছেন, “কল্পনা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করিয়া লেখক কোন বিষয়বস্তু সম্বন্ধে যে আত্মসচেতন নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপে সৃষ্টি করেন তাহাকেই প্রবন্ধ বলে”।

ড. শশীভূষণ দাশগুপ্তের মতে, “তথ্যের সহিত তথ্যের পরস্পর অন্বয়, যুক্তির সহিত যুক্তির পরস্পর অন্বয় এবং তথ্য ও যুক্তির পারস্পারিক অন্বয় শেষে একটি সুসঙ্গত সিদ্ধান্তে গমনই প্রবন্ধের বিশেষ লক্ষণ”।

নিম্নে বাংলা সাহিত্যের প্রবন্ধের ধারায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগণের অবদান তুলে ধরা হলো :

রাজা রামমোহন রায় : রাজা রামমোহন রায় ( ১৭৭৪-১৮৩৩ ) ধর্ম ও সমাজ সংস্কারকের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে সাহিত্যের ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। ‘বেদান্ত গ্রন্থ’, ‘বেদান্তসার’, ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’ , ‘ ‘গোস্বামীর সহিত বিচার’ , ‘প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ’ প্রভৃতি গ্রন্থে চিন্তার বলিষ্ঠতা ও নৈয়ায়িক সুস্পষ্টতা বিদ্যমান ছিল । ভাষার অনাড়ম্বর পারিপাট্য তার আগে আর দেখা যায় নি । ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে তার আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল বলে তাতে সাহিত্যরসের অভাব ঘটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি গদ্যে প্রাণসঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছিলেন । যা প্রবন্ধ সাহিত্য বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-৯১) ভিন্ন ভাষার সাহিত্য থেকে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থের ভাষান্তর করে উপাখ্যান রূপায়িত করলেও তার প্রবন্ধ গ্রন্থগুলো মৌলিক প্রতিভার সার্থক নিদর্শন হিসেবে গ্রহণযোগ্য । সমাজসংস্কারমূলক প্রবন্ধাবলী এবং বেনামীতে রচিত গ্রন্থসমূহ বিদ্যাসাগরের বিশিষ্ট ভাষারীতির পরিচায়ক। তাঁর প্রবন্ধের কোন কোনটিতে যেমন যুক্তিতর্ক বিচার বিশ্লেষণের পরিচয় আছে , তেমনি কতকগুলোতে হাস্যপরিহাসময় মনোভাবের ও বিকাশ ঘটেছে ।

ভূদেব মুখোপাধ্যায় : পরবর্তী প্রবন্ধকারগণের মধ্যে সুচিন্তিত ও সারগর্ভ প্রবন্ধের রচনাকার হিসেবে ভূদেব মুখোপাধ্যায় ( ১৮২৫-৯৪ ) সবিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইংরেজি শিক্ষার গভীরতার সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির উদার সম্মিলন ভূদেবচরিত্রে দৃঢ় ও উজ্জ্বল রূপ পেয়েছিল। তাঁর পরিচয় তাঁর রচনায় সহজলভ্য । ‘সফল স্বপ্ন’ ও ‘অঙ্গুরীয় বিনিময়’ রচনা করে ঐতিহাসিক উপন্যাসের স্রষ্টা হলেও ভূদেব মুখোপাধ্যায় ‘পারিবারিক প্রবন্ধ’, ‘সামাজিক প্রবন্ধ’, ‘আচার প্রবন্ধ’, ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ প্রভৃতি প্রবন্ধ গ্রন্থের মাধ্যমে শিক্ষা – সমাজ, ধর্ম, ইতিহাস, সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে যে আলোচনা করেছেন তা বিশেষ তাৎপর্যের অধিকারী ।

রাজনারায়ণ বসু : রাজনারায়ণ বসু (১৮২৬-৯৯) এই সময়কার একজন বিখ্যাত প্রবন্ধকার । সমাজ , ধর্ম ও সাহিত্যের বিষয় অবলম্বনে তিনি বহু প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন । ‘মেকাল আর একাল’, ‘ব্ৰহ্মসাধন’, ‘ বিবিধ প্রবন্ধ ‘ ইত্যাদি গ্রন্থের তিনি রচয়িতা । তাঁর আত্মচরিত্র বিখ্যাত গ্রন্থ । ‘বাঙালা ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক বক্তৃতা’ গ্রন্থে বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিক ইতিহাস রচনার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায় । তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ও ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন ।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪) বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারায় বিরাট প্রতিভা নিয়ে আবির্ভূত হন । বঙ্গদর্শন (১৮৭২) নামে বিখ্যাত সাহিত্য পত্রের প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি বাংলা সমালোচনা সাহিত্যের অভূতপূর্ব সমৃদ্ধি সাধন করেন । জাতীয় সংস্কৃতি ও সমাজজীবন অবলম্বনে তিনি অজস্র প্রবন্ধ রচনা করে সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে ব্রতী হয়েছিলেন । তার সমস্ত প্রবন্ধের বক্তব্য বিষয় পরিবেশনের গুণে সুস্পষ্ট ও মননদীপ্ত হয়ে উঠেছে । বিজ্ঞান , সাহিত্য , সমাজতত্ত্ব , দর্শন , ধর্মতত্ত্ব , ইতিহাস প্রভৃতি সকল বিষয়ই তাঁর রচনায় স্থান পেয়েছে । এই সব প্রবন্ধের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের বহুদর্শী অভিজ্ঞতার ফলশ্রুতি, গভীর ধ্যান ও ধারণালব্ধ তীক্ষ বোধিদৃষ্টি এবং গবেষণা ও রসবোধের সম্যক পরিচয় লাভ করা যায় । বঙ্কিমচন্দ্র তিন ধরনের প্রবন্ধগ্রন্থ গুলো হলো: ‘লোকরহস্য’, ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ ও ‘মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত’, ‘বিজ্ঞানরহস্য’, ‘কৃষ্ণচরিত্র’ ও ‘ধর্মতত্ত্ব’৷

কালীপ্রসন্ন ঘোষ : কালীপ্রসন্ন ঘোষ (১৮৪৩-১৯১০) গুরুগম্ভীর ভাষারীতিতে চিন্তামূলক প্রবন্ধ লিখে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন । তিনি বিদ্যাসাগরীয় ভাষারীতি বিশেষ ভাবে আয়ত্ত করেছিলেন বলে তাঁকে ‘পূর্ববঙ্গের বিদ্যাসাগর’ এবং ইংরেজ ‘জেস ইনসন’ ও ‘কার্লাইলের’ লেখার সঙ্গে তাঁর লেখার মিল ছিল বলে তাকে ‘বঙ্গের ইন বা বঙ্গ কার্লাইল’ নামেও অভিহিত করা হতো । তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে ‘নারীজাতিবিষয়ক প্রস্তাব’ ও ‘সমাজ শোধনী’ সমাজ সংস্কার সম্পর্কিত ৷ কালীপ্রসন্ন ইংরেজি শিক্ষিত ছিলেন বলে পাশ্চাত্য চিন্তাধারার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সাহিত্য সাধনা করেন । সংস্কৃতেও তার ভাল দখল ছিল। বাংলা ভাষার বিশুদ্ধি রক্ষায় তিনি সংস্কৃতের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন ।

শিবনাথ শাস্ত্রী : শিবনাথ শাস্ত্রী (১৮৪৭-১৯১৯) দেশের তৎকালীন সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন । তিনি ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ছিলেন এবং দেশের সাহিত্য ও সমাজ সংগঠনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন । সাহিত্যসেবার নিদর্শনস্বরূপ তার কতকগুলো উপন্যাস বিদ্যমান । উপন্যাসগুলো শিক্ষাপ্রদ হলেও তা চমৎকারিতাবিহীন ছিল না । তার কতিপয় উপন্যাসে গার্হস্থ্য চিত্র আছে । তবে প্রবন্ধ জাতীয় গ্রন্থ রচনায় তাঁর কৃতিত্ব অপরিসীম। ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ ( ১৮৯৭ ) জ্ঞানগর্ভ সমাজবিজ্ঞানমূলক মূল্যবান গ্রন্থ । এই গ্রন্থে রামতনু লাহিড়ীর কাহিনি বর্ণনা সহযোগে তৎকালীন বাঙালি জীবনের চিত্র রূপায়িত করা হয়েছে৷

মীর মশাররফ হোসেন : মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২) বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রাথমিক পর্যায়ের মুসলমান লেখক হিসেবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য । সাহিত্যের অপরাপর শাখায় তাঁর কৃতিত্ব প্রকাশ পেলেও তিনি ইতিহাস , সমাজ , ধর্ম ও জীবন অবলম্বনে যে সকল প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন তার মূল্য কম নয়। তাঁর প্রবন্ধে সহজ বুদ্ধিমত্তা ও নিরপেক্ষ বিচারশক্তির নৈপুণ্য প্রকাশ পেয়েছে । তিনি তার রচনায় বঙ্কিমপ্রভাবিত ভাষারীতির ব্যবহার করলেও তাতে স্বকীয়তা বিদ্যমান ছিল। ‘গো-জীবন’, ‘হযরত বেলালের জীবনী’, ‘আমার জীবনী’, ‘আমার জীবনীর জীবনী’ ইত্যাদি গ্রন্থে তার কৃতিত্ব প্রকাশ পেয়েছে৷

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) আবির্ভাবের ফলে সাহিত্যের সমস্ত শাখার সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবন্ধ শাখায়ও যুগান্তর এসেছে । তার যাদুস্পর্শে বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্য বিস্তৃতি ও বৈচিত্র্যে আন্তর্জাতিক গৌরবময় স্তরে উন্নীত হয়েছে । তার রোমান্টিক ভাবধর্মী সৃজনকুশলী কবিমনের পরিচয় তার বিপুল প্রবন্ধ সাহিত্যের মধ্যেও প্রকাশমান । তাই তাঁর প্রবন্ধ নিছক বস্তুধর্মী রসহীন তত্ত্ব বা তথ্যবিশ্লেষণ নয় , তা অনুভূতিস্নিগ্ধ কবিমনের মধুর স্পর্শে রসসমৃদ্ধ সাহিত্যকর্মে রূপায়িত হয়েছে । রবীন্দ্রনাথ বিচিত্র বিষয়াবলম্বনে অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছেন । সাহিত্যতত্ত্ব , সমালোচনা , ধর্ম , দর্শন , সমাজ, ইতিহাস, রাজনীতি , শিক্ষা , চরিতকথা , আত্মস্মৃতি , বিজ্ঞান , ভাষাতত্ত্ব , ভ্রমণকাহিনি , চিঠিপত্র প্রভৃতি নানা বিষয় অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথের বিপুলাকার প্রবন্ধ সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছে৷

প্রমথ চৌধুরী : প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬) ‘বীরবলী’ ভঙ্গি অর্থাৎ এক প্রকারের শুষ্ক, ব্যঙ্গবিদ্রুপের তির্যক দ্যোতনাবিশিষ্ট বিদগ্ধ মনের পরিচয়বাহী রচনারীতির প্রয়োগে বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন । কথ্য ভাষারীতির অভিনব প্রয়োগে তিনি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন । তাঁর গদ্যরীতিই সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যিক চলতি ভাষায় মর্যাদা লাভ করে । ‘সবুজ পত্র’ নামে বিখ্যাত সাহিত্যপত্র সম্পাদনার মাধ্যমে তাঁর অবদান সাহিত্যের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । কবিতা ও গল্প রচনায় তাঁর কৃতিত্ব বিদ্যমান থাকলেও তার প্রতিভার বৈশিষ্ট্য কতিপয় প্রবন্ধ গ্রন্থে প্রকাশমান । ‘তেল নুন লকড়ী’, ‘বীরবলের হালখাতা’, ‘নানাচর্চা’ ইত্যাদি প্রবন্ধগ্রন্থে তার ঋজু , যুক্তিনিষ্ঠ ও সংস্কারমুক্ত মনের পরিচয় ফরাসি বাগবৈদগ্ধ্যসহ রূপলাভ করেছে । বিশুদ্ধ বুদ্ধি ও শাণিত ব্যঙ্গ তাঁর রচনার বৈশিষ্ট্য৷

উপসংহার : প্রত্যেক প্রবন্ধে কোন কিছু প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। যথার্থ তথ্য-প্রমাণের সমাবেশে, ভাবে, ভাষায়, চিন্তার প্রয়োগে সেই প্রতিপাদ্য বিষয়কে রুপদান করাই প্রবন্ধের লক্ষ্য। প্রবন্ধ সাহিত্যের মধ্য দিয়েই জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, সমাজ-রাজনীতি, সাহিত্য-শিল্পকলা প্রভৃতি বিষয় তত্ত্বকেন্দ্রিক ও বস্তুগত চিন্তামূলক গদ্যনিবন্ধ  হয়ে ফুটে উঠে। তাই বলা যায় যে, বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের অবদান অপরিসীম।

আর্টিকেল’টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে দিন অথবা পোস্ট করে রাখুন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, তাতে আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।

গৌরব রায়

বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ।

লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

6.7k

SHARES

Related articles

লােকসাহিত্য কাকে বলে?

লােকের মুখে মুখে প্রচলিত গাঁথা, কাহিনী, গান, ছড়া, প্রবাদ ইত্যাদি হলাে লােকসাহিত্য হলাে। লোকসাহিত্য মূলত বাককেন্দ্রিক। কেবল মৌখিক নয়, ঐতিহ্যবাহীও, অর্থাৎ লোকপরম্পরায় লোকসাহিত্য মুখে মুখে

Read More

সাহিত্য কী? বাংলা সাহিত্য কী? বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা করো!

সাহিত্য: ‘সাহিত্য’ শব্দটি ‘সহিত’ শব্দ থেকে এসেছে। এখানে সহিত শব্দের অর্থ- হিত সহকারে বা মঙ্গলজনক অবস্থা। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য সম্পর্কে বলেন, “একের সহিত অন্যের মিলনের মাধ্যমই হলো

Read More

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এর জীবন ও সাহিত্যকর্ম

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ – ২৫ জুন ১৯২২) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কবি, যাঁর কবিতা এবং ছড়ার জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর জন্ম

Read More
Gourab Roy

Gourab Roy

I completed my Honors Degree in Bangla from Shahjalal University of Science & Technology in 2022. Now, I work across multiple genres, combining creativity with an entrepreneurial vision.

বিশ্বসেরা ২০ টি বই রিভিউ

The content is copyright protected.